শেরপুর ও সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় গতকাল শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় যূথী আক্তার (৮) নামের এক শিশু মারা গেছে। একই দিন সিলেট-তামাবিল সড়কে মাইক্রোবাস উল্টে সাইদুল ইসলাম (২৫) নামের এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
যূথী উপজেলার শ্রীবরদীর ইন্দিলপুর গ্রামের মো. জমর উদ্দিনের মেয়ে। সে ইন্দিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর-শ্রীবরদী সড়কের ইন্দিলপুর বাজার এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা যূথীকে ধাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা এম এ জব্বার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় শিশুটি মারা যায়।
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রায় এক ঘণ্টা শেরপুর-শ্রীবরদী সড়ক অবরোধ করে রাখেন এবং দায়ী চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। পরে শ্রীবরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এস আলম গতকাল বেলা তিনটায় বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। অটোরিকশাটি পুলিশ আটক করেছে। তবে চালক পলাতক রয়েছেন।
অন্য ঘটনায় নিহত সাইদুল ইসলাম দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলার নূরানীয়া মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র (ইশা) ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহত মাদ্রাসাছাত্রের সহপাঠীদের বরাত দিয়ে মহাসড়ক পুলিশ জানায়, একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে একটি মাইক্রোবাসে সিলেট থেকে জৈন্তাপুর উপজেলায় যাচ্ছিলেন সাইদুলসহ নয়জন মাদ্রাসাছাত্র। মাইক্রোবাসটি বাঘেরসড়ক নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই সাইদুল মারা যান।
তামাবিল মহাসড়ক পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন আহত ছাত্রদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সাইদুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি জব্দ করে এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।