মজুরির দাবিতে সড়ক অবরোধ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীবাজার এলাকায় গতকাল সড়ক অবরোধ করেন অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকেরা। পাওনা মজুরির দাবিতে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন l ছবি: প্রথম আলো
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীবাজার এলাকায় গতকাল সড়ক অবরোধ করেন অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকেরা। পাওনা মজুরির দাবিতে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন l ছবি: প্রথম আলো

পাওনা মজুরির দাবিতে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীবাজার এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। এতে দেড় শতাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক অংশ নেন। এর আগে তাঁরা গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কে মানববন্ধনও করেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চৌধুরীবাজার এলাকায় শ্রমিকেরা মানববন্ধন করেন। একটার পর তাঁরা চৌধুরীবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শ্রমিকেরা মজুরি পরিশোধের দাবিতে স্লোগান দেন। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই মিলটন ঘটনাস্থলে যান। তিনি মজুরি পরিশোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুইটার দিকে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু শ্রমিকদের এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবরোধের সময় বক্তব্য দেন উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, শ্রমিক হাফিজার রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে ৩৩০ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিন কাজ বাস্তবায়নের কথা। একজন শ্রমিক দৈনিক ২০০ টাকা হিসাবে মজুরি পাবেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর কর্মসূচির আওতায় মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। শেষ হয় গত ১৬ জানুয়ারি। পরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকার সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্যদের সঙ্গে যোগসাজশে ৩৩০ জন শ্রমিকের পাঁচ দিনের মজুরি ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা কম দেন। তাঁরা ওই পাঁচ দিনের টাকার দাবিতে গতকাল এসব কর্মসূচি পালন করেন। এমনকি কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকের পরিচিতির জন্য প্রত্যেককে ‘জবকার্ড’ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কাউকে তা দেওয়া হয়নি।
তবে পিআইও নুরুন্নবী সরকার বলেন, শ্রমিকেরা পাঁচ দিন কাজ করেননি। তাই তাঁদের ওই পাঁচ দিনের মজুরি দেওয়া হয়নি।