কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দুই মন্ত্রী

‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নেননি। পরের বছর পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করেছেন। ভেবেছিলেন, এটা করে সরকারকে আন্তর্জাতিক চাপে ফেলে দেবেন। এরপর শেখ হাসিনা চলে গেলে উনি (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু পেট্রলবোমা মেরে কেউ গণতন্ত্র হত্যা করতে পারেনি। মানবতাবিরোধী এ অপরাধের বিচার হবে। আপনারও ফাঁসির রায় কার্যকর হবে।’
গতকাল শনিবার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম এসব কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই ডিগ্রি কলেজের মাঠে ওই সমাবেশ শুরু হয়।
পরে তিনি পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে সভাপতি ও রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিতে হবে। শেখ সেলিম নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে কাঁরা আছেন বলে হাত তুলতে বলেন। পরে কর্মী সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হাত তুলে ওই কমিটিকে সমর্থন জানান।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশ হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুর রহমান, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী, রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন, সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল খান।
সমাবেশে শেখ ফজলুল করিম সেলিম সরকারের উদ্দেশে বলেন, পাকিস্তান দূতাবাস থাকলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে। জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হবে। তাই এখানে দূতাবাস রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
সর্বশেষ ২০০৬ সালের ১২ মে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে আ হ ম মুস্তফা কামাল আহ্বায়ক ও মো. মুজিবুল হক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।