নদীর জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ

কালীগঞ্জ শহরের পুরোনো ব্রিজের পাশে নদীর জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে l প্রথম আলো
কালীগঞ্জ শহরের পুরোনো ব্রিজের পাশে নদীর জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে l প্রথম আলো

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে সড়ক প্রশস্ত করতে চিত্রা নদীর পাঁচ ফুট জায়গার অবৈধ দখল ছাড়তে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। দখলকারীরা সেই জায়গা ছাড়লেও এক ব্যবসায়ী নতুন করে দখল করেছেন নদীর ১৫ ফুট জায়গা। তিনি সেখানে দ্রুতগতিতে ভবন নির্মাণের কাজ করছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। তবে স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, চট দিয়ে ঢেকে এত দিন দিনের বেলায় কাজ চালালেও এখন রাতেও কাজ চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, কালীগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে চিত্রা নদী। শহরে এ নদীর ওপর রয়েছে একটি সেতু। পুরোনো ব্রিজ হিসেবে এটি পরিচিত। এ সেতুর দুই ধারে নদীর জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করেছেন একাধিক দলখকারী। দীর্ঘ সময়ে এ দখলের পরিমাণ বেড়েছে।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের নিমতলা বাজার এলাকার সড়কটি চওড়া করতে ও পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সড়কের দুই পাশ দখলমুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রয়োজনে দুই পাশে নদীর জায়গা দখল করে যে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর বাড়তি অংশ ফাঁকা করে দিতে নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এরপর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ভবনের তিন থেকে চার ফুট ভেঙে জায়গা ফাঁকা করে দেন। তবে এসব জায়গা ফাঁকা করলেও বার্মিজ সুজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পেছনে নদীর ভেতরে দৈর্ঘ্যে ১৫ ফুট ও প্রস্থে ১০ ফুট জায়গা নতুন করে দখল করেছে। সেতুর গা-ঘেঁষে থাকা দোকান বার্মিজ সুজের মালিক সামছুল ইসলাম সামনে পাঁচ ফুট ছেড়ে পেছনে ওই জায়গা দখল করেছেন। পাশের দোকান মালিকেরাও একইভাবে ঘর নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
সামছুল ইসলাম বলেন, তাঁরা সামনে পাঁচ ফুট ছেড়েছেন, আর ব্যবসার প্রয়োজনে পেছনে ১২-১৩ ফুট দখল করেছেন। এটা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করছেন বলে তিনি দাবি করেন। ইউএনও মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, নদীর জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের কাজ গত বুধবার বন্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারি সম্পত্তি, প্রয়োজনে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ ধরনের দখল বন্ধ না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।