রওশনকে কো-চেয়ারম্যান না করা হলে সভা বর্জন

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান করা না হলে সোমবার দলের মতবিনিময় সভায় যাবেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। 

আজ রোববার রাতে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাপার সংসদীয় দলের সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সংসদীয় দলের সভায় সভাপতিত্বে করেন রওশন এরশাদ। তবে ওই বৈঠকে দলটির চেয়ারম্যান ও সাংসদ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ উপস্থিত ছিলেন না।
কাল সোমবার গুলশানের ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে জাপার মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা কমিটিগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক-সদস্য সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন এরশাদ। বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফখরুল ইমাম প্রথম আলোকে বলেছেন, রওশন এরশাদকে দলের কো-চেয়ারম্যান করা না হলে ভবিষ্যতে জাপার কোনো কর্মসূচিতে সংসদীয় দলের সদস্যরা অংশ নেবেন না।
জানতে চাইলে জাপার কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, এটা রওশন এরশাদ করেছেন কি না তা নিয়ে আমার সংশয় আছে। তা ছাড়া সংসদীয় দল এটা করতে পারে না। তারা কেবল সংসদের বিষয়গুলো দেখবে, অন্য বিষয় নয়। তিনি বলেন, যদি এই সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো এতে জাতীয় পার্টির কিছু যায় আসে না। দল দলের মতোই চলবে। আমি বলবো সংসদীয় দলকে রীতিনীতির মধ্যে চলা উচিত।
বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান কর্তৃক একতরফাভাবে অগঠনতান্ত্রিক উপায়ে জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নিয়োগের বিষয়টি প্রত্যাহার, রওশন এরশাদকে দলের কো-চেয়ারম্যান করা এবং প্রেসিডিয়াম ও সংসদীয় দলের যৌথসভায় আলোচনা ছাড়া দলের চেয়ারম্যান এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তগুলো এখন পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজকের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, দলের চেয়ারম্যান তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রওশন এরশাদকে দলের এক নম্বর কো-চেয়ারম্যান না করা পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ প্রেসিডিয়াম ও সংসদীয় দলের কোনো সদস্যরা কালকের মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবেন না। সভায় যেকোনো মূল্যে দলের ঐক্য অক্ষুণ্ন রাখার কথা বলা হয়।
সভায় জাপার ২৭ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন বলে জানানো হয়েছে।