খালেদা সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছেন: শাজাহান খান

শাজাহান খান। ফাইল ছবি
শাজাহান খান। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিক-কর্মচারীদের আর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সন্ত্রাসীদের অনুদান দিয়ে সাহায্য করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার ট্রাইব্যুনাল আন্দোলনের আহ্বায়ক শাজাহান খান।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার ট্রাইব্যুনাল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় শাজাহান খান এ অভিযোগ করেন। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনার বিচারের দাবিসহ নানা দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, যাঁরা পুলিশ ও জনগণের হাতে নিহত হয়েছেন, খালেদা জিয়া সেই সন্ত্রাসীদের সাহায্য করছেন। সর্বনাশ করার জন্য তিনি তাদের অনুদান দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ৫২ কোটি টাকার বেশি অনুদান দিয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক-কর্মচারীদের। যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের পরিবারগুলোকে। আর যাঁরা আহত হয়েছেন ও সম্পদ পুড়ে গেছে, তাঁদেরকে।
বাংলাদেশে মানবতাবিরোধীদের বিচারে কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, সাকা চৌধুরী, মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের পরে পাকিস্তানের নানা মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার এদের বলছে সাচ্চা পাকিস্তানি। পাকিস্তানি সরকার বলছে—১৯৭১ সালে তারা কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। বাংলাদেশে কোনো গণহত্যা হয়নি। পাকিস্তান সরকার বলছে যে, ১৯৭১ সালে ভারতের সঙ্গে নাকি যুদ্ধ হয়েছিল। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নিন্দা প্রস্তাব নিয়েছে। আর পাকিস্তানের ঢাকাস্থ দূতাবাস এখানে বসে ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে।’

শাজাহান খান বলেন, ‘১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চুক্তি হয়েছিল। কথা ছিল—পাকিস্তানি সেনাদের আমরা মাফ করে দেব। কিন্তু তাদের এখানে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দেশের মানুষের মাফ চাইতে হবে। পাকিস্তান সে কথা রাখেনি, চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। চুক্তি লঙ্ঘনের পর তা বাস্তবায়নে আমাদের কোনো দায়দায়িত্ব নেই। সুতরাং এখন আমাদের দায়িত্ব ১৯৫ জন নয়, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে, প্রত্যেককে বাংলাদেশের মাটিতে বিচার করব।’
নৌমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে ভারত-পাকিস্তানকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের গাত্রদাহ ও ঈর্ষা সৃষ্টি হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৭০ সালে যখন ঘূর্ণিঝড়ে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি সহায়তা পেয়েছিলাম, একটা টাকাও পাকিস্তান আমাদের দেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ১ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আমাদের দেয়নি। আমাদের দাবি, ১৯৫ জন, যত অপরাধী আছে, সবার বিচার করব। একই সঙ্গে আমাদের যে সম্পদ পাকিস্তানে আছে, সেই সম্পদ ফিরিয়ে আনতে হবে।’

আগামী ৩১ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনার বিচারের আয়োজন করতে সচেতনতা বাড়াতে নানা কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।