মীর কাসেমের প্রতারণা মামলায় বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলার তদন্তের জন্য ওই মামলার বাদী ও সাক্ষীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ। যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁরা হলেন, মামলার বাদী আশরাফুল হক এবং সাক্ষী আবুল কালাম আজাদ ও আতিকুল ইসলাম।
গত ২০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নয়জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে গঠিত ১৪ সদস্যের কমিটির এক সদস্য হেরিটেজ এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে।
মামলায় ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলী ছাড়াও জামায়াতের নেতা আব্দুস সুবহান, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান ইস্কান্দার আলী খান, নির্বাহী পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, মো. দাউদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল হাই, লুৎফুননেসা ও ড্রিম ভিউ কেবল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. সুলতানউজ্জামানকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জমি কেনার জন্য বাদীর কাছ থেকে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা নেওয়া হলেও মাত্র ৫২ লাখ টাকায় জমি কিনে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। বিষয়টি তিনি জানার পর টাকার জন্য চাপ দিলে তাঁকে টাকার সমমূল্যের হাসপাতালের শেয়ার দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু তাঁকে শেয়ার দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর অভিযোগ, জমি কেনা নয়, তাঁর টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল আসামিদের উদ্দেশ্য।