থমকে আছে মিরসরাই শিল্পনগরের কাজ

চট্টগ্রামের মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরের কাজ থমকে আছে। এখানকার ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে তিন বছর। ১৫ দশমিক ৩২ একর জমিতে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই শিল্পনগরের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে।
এটির পূর্ণাঙ্গ কাজ চলতি বছরের ১৩ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থসংকটে আরও এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ২০১০ সালে মিরসরাই পৌরসভার রেলস্টেশন সড়ক এলাকায় চট্টগ্রামের পঞ্চম বিসিক শিল্পনগর স্থাপনের কাজ শুরু করে। ২০১০-১১ অর্থবছরে শুরু হয়ে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সময় লাগে দুই বছর। ২০১২ সালে শুরু হয় মাটি ভরাটের কাজ।
মাটি ভরাটকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠান তৌহিদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী কবির আহম্মদ চৌধুরী জানান, বর্ষা মৌসুম থেকে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ আছে। তা ছাড়া বর্তমানে মাটি, শ্রমিক ও অন্যান্য জিনিসের মূল্য বেড়ে গেছে। এই বিষয়টি ও মাটি ভরাটকাজের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয় জানিয়ে বিসিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দেখা গেছে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ। নির্মাণ হয়নি প্রবেশের মূল সড়কও। প্রকল্পের চারদিকে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ না থাকায় ভরাট করা মাটি বৃষ্টিতে চলে গেছে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ধানের জমিতে। ভরাট করা মাটির অর্ধেক সমান করা হলেও বাকি অর্ধেক রয়েছে অসমান অবস্থায়।
এ সময় স্থানীয় অধিবাসী কামাল উদ্দীন জানান, বিসিকের জন্য নির্ধারিত স্থানে মাটি ভরাট করায় মিরসরাইয়ের উত্তর তালবাড়িয়া গ্রামের পানিনিষ্কাশন হতে যথেষ্ট সময় লেগে বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল গত বর্ষা মৌসুমে।
বিসিক মিরসরাইয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. সফিউর রহমান বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কাজ শেষ না হলে মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে।
সফিউর রহমান আরও বলেন, ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠান আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাটি ভরাটের সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। এটি প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া জানান, বাস্তবায়নাধীন মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের জন্য ৮৮টি প্লট হবে। এটি স্থাপিত হলে নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এই এলাকায় ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। এ প্রকল্পে পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। কর্মসংস্থানের বিষয়ে অবশ্যই মিরসরাইয়ের জনগণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।