শিক্ষকদের বরখাস্ত করেই চলেছেন সভাপতি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিয়মবহির্ভূতভাবে একের পর এক শিক্ষককে বরখাস্ত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী শিক্ষক আহসান হাবিব ১৪ নভেম্বর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহফুজার রহমানের অন্যায় কার্যক্রমের প্রতিবাদ যে শিক্ষকেরা করেছেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে সভাপতির কথা অনুযায়ী না চলায় প্রধান শিক্ষক লাল মোহাম্মদকে বরখাস্ত করা হয়। তারপর বিদ্যালয়ের সভাপতি সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু বক্করকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।
পরে আবু বক্করকেও ওই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র উপেক্ষা করে কনিষ্ঠ শিক্ষক আবদুর রউফ চৌধুুরীকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন সভাপতি। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আহসান হাবিবের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ার কথা ছিল। আহসান হাবিব এর প্রতিবাদ করেন।এ কারনে এবং সভাপতির অন্যায় আবদার মেনে না নেওয়ার জন্য ১৩ নভেম্বর তাঁকেও কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ না দিয়ে বরখাস্ত করা হয় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আহসান হাবিব বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের সভাপতি ওকালতি পেশার সঙ্গে জড়িত। সেই দাপটে তিনি সবকিছু ওলট-পালট করতে চান। প্রত্যেক শিক্ষককে তিনি হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ২০টি লিখিত আভিযোগ আছে প্রশাসনের কাছে।’
জানতে চাইলে আলমপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুর রউফ চৌধুরী বলেন, ‘আমার করার কিছুই নেই। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি যা হুকুম করবেন, আমাকে তা-ই করতে হবে।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাহফুজার রহমান বলেন, আহসান হাবিবকে বরখাস্ত করা সঠিক আছে। সব ক্ষেত্রে কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিলেও হয়। কমিটি অপরাধ পেয়েছে, বরখাস্ত করেছে। এখানে তাঁদের করার কিছু নেই।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহফুজার রহমানের কাছে শিক্ষকদের বরখাস্ত করার কারণ জানতে প্রাথমিকভাবে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।