জুলাইয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ঢাকায়

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) পরবর্তী বৈঠক আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ওই বৈঠকটি হবে চতুর্থ দফা আলোচনা।
গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গবেষণা সংস্থা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) আয়োজিত রায়সিনা সংলাপে অংশ নিতে নয়াদিল্লি সফরে গেছেন আবুল হাসান মাহমুদ।
গত মঙ্গলবার রায়সিনা সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ বক্তব্য দেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা। ১-৩ মার্চ ভারতের রাজধানীতে চলমান এ সংলাপে এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর পারস্পরিক যোগাযোগ, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয় স্থান পাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রায়সিনা সংলাপে অংশ নেওয়ার ফাঁকে মাহমুদ আলী গতকাল সকালে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মাহমুদ আলী পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, শিল্প ও বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
অবশ্য এই বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরুপ টুইটারে লিখেছেন, ‘এক মূল্যবান প্রতিবেশী, এক গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে দেখা করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।’
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশ উন্নয়ন-সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তি সই করে। ওই চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য জেসিসি গঠন করা হয়। এরপর জেসিসির প্রথম বৈঠক ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেসিসির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৈঠক যথাক্রমে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ঢাকা ও দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা জেসিসির বৈঠকে দুই দেশ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন-সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলে।