আ.লীগ-বিএনপিতে ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কোনো ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নেই। একক প্রার্থী দিয়ে দুই দলই জয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। দুই দলেরই নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সীমানাসংক্রান্ত জটিলতায় ভাঙ্গুড়া ও মন্ডুতোষ ইউনিয়নের নির্বাচন বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউনিয়ন দুটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ বাকি চারটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হবে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে অষ্টমনীষা, খানমরিচ, পার ভাঙ্গুড়া ও দিলপাশা। চারটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে সবার মনোনয়ন বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও দুই দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অষ্টমনীষা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আইনুল হক।
খানমরিচ ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি সরদার আবদুল আলিম দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও শরিফুল ইসলাম।
দিলপাশা ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার ঘোষ ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাইকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন হাবিবুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম।
পার ভাঙ্গুড়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন হেদায়েতুল হক। তিনি দলের কোনো পদে নেই। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আফরোজা খানম।
চারটি ইউনিয়নের ১০-১২ জন প্রবীণ ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী ও ব্যবসায়ী। ফলে সবাই ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটান। তাই নির্বাচন নিয়ে কারও মধ্যে খুব বেশি মাতামাতি নেই। চারটি ইউনিয়নের মধ্যে গত মেয়াদে তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও একটিতে বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে এবার আওয়ামী লীগ চারটি ইউনিয়নেই নিজেদের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে চাইছে। অন্যদিকে বিএনপিও নিজেদের একটি ধরে রাখার পাশাপাশি অন্য ইউনিয়নগুলোতে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই অনেকটা নীরবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দুই দলের নেতা-কর্মীরা।