চলে গেলেন রফিকুল ইসলাম

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার অন্যতম রূপকার মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম (৬০) আর নেই। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের ভ্যাঙ্কুভার জেনারেল হাসপাতালে গত বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ আসর ভ্যাঙ্কুভারে রিচমন্ড মসজিদে জানাজার পর সিলওয়াক এলাকায় তাঁকে দাফন করা হয়।

রফিকুল ইসলাম ১৯৫৩ সালে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় বসবাস করছিলেন। অটোয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস রাষ্ট্রীয়ভাবে রফিকুল ইসলামকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।

১৯৯৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রফিকুল ইসলাম জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি ১৯৫২ সালে ভাষাশীহদদের অবদানের কথা উল্লেখ করে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন। রফিক তাঁর সহযোদ্ধা আবদুস সালামকে নিয়ে ‘এ গ্রুপ অব মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি সংগঠন দাঁড় করান এবং অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রচেষ্টা শুরু করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেসকো জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়। এ গৌরবময় অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাঁদের সংগঠন একুশে পদক লাভ করে।

আজ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা: আজ বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রফিকুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও শোকসভার আয়োজন করেছে।