ভৈরবে মাদক ও ছিনতাই প্রতিরোধে সমাবেশ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরে ছিনতাই ও মাদকের বিস্তার প্রতিরোধে নাগরিক আন্দোলন শুরু করেছেন পৌরবাসী। মেয়রের ডাকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের ভৈরবপুর ঈদগাহ মাঠে নাগরিক সমাবেশ হয়।
পৌর মেয়র ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ মিয়া, রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সাদেক হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছিনতাই, খুন ও পারিবারিক অশান্তিসহ আরও কিছু অপরাধের মূল কারণ মাদক। ভৈরবে মাদক ব্যবসা ও সেবন বেড়ে যাওয়ায় ছিনতাইসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। শহরের নাটাল চত্বরে তিন বছরের ব্যবধানে পুলিশের এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) তিনজন খুন হয়েছেন। সম্প্রতি খুন হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা পলাশ। বর্তমানে প্রতিদিন শহরের একাধিক স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারীরা শুধু সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে ক্ষান্ত থাকে না, লোকজনকে ছুরিকাঘাত করছে। এতে ভৈরব এখন আতঙ্কের শহরে পরিণত হয়েছে। বক্তারা মাদক ও ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে র্যা ব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার রেজা সারোয়ার ও ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ।
ভৈরব থানার ওসি বদরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দেড় বছরে ভৈরব থেকে ৭৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে এ কথা সত্য যে কিছু ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী ভৈরবের স্বাভাবিক জীবনব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। কিন্তু সমস্যা হলো অপরাধী ধরা পড়লে সমাজপতিরা ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তদবির করেন। শহরকে নিরাপদ রাখতে কোনো অপরাধীর জন্য তদবির না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
পরে ছিনতাই ও মাদক প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে পলাশ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।