কালীগঞ্জে কাটা হচ্ছে মহাসড়কের তাজা গাছ

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কালীগঞ্জ অংশে থাকা তাজা মেহগনিগাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঝিনাইদহ কর্তৃপক্ষ ওই গাছগুলো দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছে। এদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এভাবে তাজা গাছগুলো কেটে ফেলায় পরিবেশের ক্ষতি হবে।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কালীগঞ্জ অংশে কালীগঞ্জ শহরের প্রধান বাসস্ট্যান্ড থেকে মোবারকগঞ্জ চিনিকল পর্যন্ত শতাধিক মেহগনি ও কড়ইগাছ রয়েছে। গাছগুলো এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শহরের একাংশ সবুজ করে রেখেছে। এর মধ্য থেকে মেহগনিগাছগুলো গত শুক্রবার কাটা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বৈশাখী পেট্রলপাম্পের সামনে থেকে একটি গাছ কাটা হয়েছে। শনিবার কাটা হয়েছে হক চিড়া মিল এলাকা থেকে। কর্মরত শ্রমিকেরা বলেন, আরও গাছ কাটা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনাজ পারভিন বলেন, তাজা গাছ কাটা হচ্ছে জেনে তাঁরা সাময়িকভাবে গাছ কাটা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে বৈধ কাগজপত্র আছে দেখে আবার কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সম্ভবত ২০১০ সালে এই গাছগুলো বিক্রির দরপত্র হয়েছিল। তারপর জমি নিয়ে সড়ক বিভাগ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে মামলা চলছিল। এ কারণে দরপত্রের মাধ্যমে যাঁরা গাছগুলো কিনেছেন, তাঁরা সেগুলো কাটতে পারেননি। এখন আদালতে সেই মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলে ক্রেতা হিসেবে তাঁরা এখন গাছগুলো কাটছেন। তবে দরপত্রসংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়গুলো অনেক আগের। কাগজপত্র কোথায়, তাও তিনি জানেন না। তাই এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে পারবেন না। কারণ, তাঁর আগের কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৮-৯ অর্থ বছরে বৃক্ষ পালনবিদ রাজশাহীর মো. কামাল উদ্দিন মোল্লার স্বাক্ষর করা কার্যাদেশ পেয়ে গত শুক্রবার থেকে ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের সবুজ গাছ কাটা শুরু হয়েছে। যশোরের এনামুল কবীর ওরফে বাবুকে স্থানীয় এই গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল জড়িত রয়েছেন।