আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ৭৪ জনের নামে মামলা

দেশের প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার দশমিনা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে হামলা, ব্যালট পেপার ছিনতাই, বাধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা, মারধর, মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইকবাল মাহমুদ লিটনসহ ৭৪ জনের নামে দশমিনা থানায় মামলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চাচাতো ভাই শূভময় রায় বাদী হয়ে ঘটনার আট দিন পর গত ৩০ মার্চ দশমিনা থানায় দ্রুত বিচার আইনে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আমার চাচাতো ভাই গৌতম রায় দশমিনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। অপরদিকে ১ নম্বর আসামি ইকবাল মাহমুদ লিটন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিদের সহযোগিতায় গৌতম রায়ের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। নির্বাচনের দিন আমাদের বাড়ির নিকটবর্তী লক্ষ্মীপুর কেন্দ্রে ভাইয়ের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় ওই চাঁদার টাকা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে নির্বাচনের দিন দলবল নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। আসামিরা ১, ২ ও ৩ নম্বর কেন্দ্রে ইকবাল মাহমুদের পক্ষে ব্যালট ছিনতাই করে বাক্সে ফেলে। বেলা পৌনে দুইটার দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও মহিলাদের মারধর করে। এ ছাড়া আসামিরা বাড়ির মন্দিরে থাকা প্রতিমা ভাঙচুর করে ও বাড়ির সামনে থাকা নয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এতে তাঁদের ২১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতি হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বাড়িঘরে হামলার সঙ্গে আমি কিংবা আমার কোনো কর্মী-সমর্থক জড়িত নন। ঘটনাটি নিন্দনীয়।’ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, দশমিনা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২২ মার্চ নির্বাচনে নয়টি কেন্দ্রের মধ্যে ছয়টি কেন্দ্রের ফলাফলে ইকবাল মাহমুদ লিটন পেয়েছেন ২ হাজার ৯৭৫ ভোট। গৌতম রায় পেয়েছেন ৯৭৬ ভোট। তিন কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে। এই তিন কেন্দ্রের ভোটারসংখ্যা ৬ হাজার ৩০২।