আজমেরী ওসমানকে গ্রেপ্তারে ত্বকীর বাবার আবেদন

নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আজমেরী ওসমানকে গ্রেপ্তারে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার বাদী ও ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম অশোক কুমার দত্তের আদালতে এই আবেদন জানানো হয়।

আদালত বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো আদেশ দেননি বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মাসুম।
আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, আজ ত্বকী হত্যা মামলার নিয়মিত শুনানির দিন ছিল। বাদী আদালতে জমা দেওয়া তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন যে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এ মামলার আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর। জবানবন্দিতে তিনি বলেছিলেন, একই বছরের ৬ মার্চ শহরের কলেজ রোডে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে খুন করা হয়। ত্বকীকে খুনের পর বস্তাবন্দী লাশ আজমেরী ওসমানের গাড়িতে তুলে চারারগোপে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আজমেরীকে গ্রেপ্তার করছে না। আজমেরী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং বাদী রফিউর রাব্বিকে হুমকি দিচ্ছেন। এতে বাদী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আইনজীবী জানান, বাদী রফিউর রাব্বি অবিলম্বে আজমেরী ওসমানকে গ্রেপ্তারের জন্য আদালতের কাছে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছেন। গত তিন বছরেও ত্বকী হত্যার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়নি। বর্তমানে র‍্যাব মামলাটি তদন্ত করছে।
ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি সালেহ রহমান সীমান্ত ও ইউসুফ হোসেন লিটন কারাগারে আটক রয়েছেন। আরেক আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে পালিয়ে গেছেন। পরে আদালত তাঁর জামিন বাতিল করেছেন।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ বাসা থেকে বের হওয়ার পর ত্বকী অপহৃত হয়। ৮ মার্চ চারারগোপে শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করা হয়।