এনসিটিবির অনুমোদন ছাড়াই বই প্রকাশের সুযোগ দাবি

শিক্ষা আইনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অনুমোদন ছাড়াই স্বাধীনভাবে সহায়ক বই প্রকাশ এবং বাজারজাতের সুযোগ রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। এ জন্য তারা প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের কয়েকটি ধারা ও উপধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। এ দাবিতে সারা দেশে দুই দিন বইয়ের দোকান (লাইব্রেরি) বন্ধ রাখাসহ কয়েকটি কর্মসূচিও দিয়েছে সমিতি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সমিতির সভাপতি আলমগীর সিকদার।
শিক্ষা আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্তরে (অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) নোট বই বা গাইড বই প্রকাশ করা যাবে না। তবে এনসিটিবি পাণ্ডুলিপির অনুমোদন দিলে সহায়ক শিক্ষা উপকরণ বা সহায়ক পুস্তক বা ডিজিটাল শিখন-শেখানো সামগ্রী প্রকাশ করা যাবে। কেউ এ বিধান লঙ্ঘন করলে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আলমগীর সিকদার বলেন, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে নোট ও গাইড বইয়ের যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে, সেটাও বাস্তবসম্মত নয়। এ জন্য নোট ও গাইড বইয়ের সংজ্ঞা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তির যে ধারা আছে, তা বাতিল করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১০ এপ্রিল বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুখে কালো কাপড় বেঁধে নীরব প্রতিবাদ।