গ্রাহকের টাকা গেছে, ব্যাংক কর্মকর্তা লাপাত্তা

যমুনা ব্যাংকের কুমিল্লা শাখার ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে এক নারী গ্রাহকের ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তবে পরিবারের দাবি, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা নগরের হালুয়াপাড়ার দেলোয়ারা বেগম বলেন, গত ২৩ মার্চ জমি বিক্রির ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা তিনি যমুনা ব্যাংকের ওই শাখায় জমা রাখেন। শাখা ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন তাঁর কাছে ৬ লাখ টাকা ধার চান এবং চারটি চেকে সই নেন। মোশারফ ৫ এপ্রিল দুটি চেকে ৬ লাখ টাকা করে এবং ৬ এপ্রিল দুটি চেকে ৩ লাখ ও ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা তুলে নেন। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, তাঁর হিসাবে টাকা নেই। ব্যবস্থাপকও কর্মস্থলে আসেননি।
এ ঘটনায় ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন দেলোয়ারা। যমুনা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মোশারফকে বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে।
মোশারফের পরিবার দাবি করছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মোশারফের ছোট ভাই শাহাদাৎ হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁর ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, ব্যবস্থাপকের পরিবার নিখোঁজের জিডি করেছে। ওই ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সম্ভবত তিনি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন।