সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রার্থীদের ভয়

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে সন্ত্রাসীরাই একমাত্র ভয়ের কারণ। গতকাল শনিবার নির্বাচন নিয়ে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রার্থীরা এই শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন।
পাতাছড়া ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, পাতাছড়া ইউনিয়ন পাহাড় ও বনবেষ্টিত এলাকা। এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুটি আঞ্চলিক দলের আধিপত্য আছে। দল দুটির সন্ত্রাসীরা ভোটারদের ওপর চাপ প্রয়োগসহ নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
রামগড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী নবরায় ত্রিপুরা বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ও ফটিকছড়ির সীমানায় অবস্থিত। ফটিকছড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা এসে প্রভাব বিস্তারসহ পাহাড়ি ভোটারদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’
রামগড় ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুর হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের মতো রামগড় ইউপির নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হোক। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের আন্তরিকতা দরকার।’
পাতাছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মণীন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি অঙ্গীকার করছি।’
রামগড় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হোসেন।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, কোনো সন্ত্রাসীকে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ দেওয়া হবে না। নির্বাচনে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া বিজিবির আরও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম জাহিদুর রশিদ, পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, রামগড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী নুরুল আলম, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান।