উত্তরে রহমতুল্লাহ-সাদেক, দক্ষিণে হাসনাত-শাহে আলম

ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে আওয়ামী লীগের দুটি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরের সভাপতি ঢাকা-১১ আসনের সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এবং দক্ষিণে সভাপতি আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

আজ রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলটির ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। কমিটি ঘোষণার পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ‘ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ’ ও ‘ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ’ নামে পরিচালিত হবে।
কমিটি ঘোষণার পর জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ভালো হয়েছে। ভবিষ্যতে এই কমিটি নির্বাচন ও আন্দোলনে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের জন্য পৃথক দুই কমিটি করার দায়িত্ব পালন করায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তাঁদের ধন্যবাদ জানান।
কমিটির নাম ঘোষণার সময় ধানমন্ডির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের প্রচুর ভিড় ছিল। কার্যালয়ের ভেতর ও বাইরে এবং আশপাশের সড়কে প্রচুর লোকসমাগম হয়। কমিটি ঘোষণার সময় নেতা-কর্মীরা নানান স্লোগান দেন। অনেক নেতা-কর্মী ফুলের তোড়া নিয়ে আসেন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। দুই মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কয়েক দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।
প্রায় সাড়ে নয় বছর পর ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। কাউন্সিলররা দলীয় প্রধানকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষমতা দেন। মহানগরের অন্তর্গত ১০৩টি ওয়ার্ড, ১৭টি ইউনিয়ন ও ৪৯টি থানা কমিটি গঠন ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা ছিল।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর শাখার সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয় ২০০৩ সালের ১৮ জুন। ওই বছরের জুনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মোহাম্মদ হানিফকে সভাপতি ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৬ সালের নভেম্বরে মারা যান মোহাম্মদ হানিফ। তাঁর মৃত্যুর পর ১ নম্বর সহসভাপতি ওমর আলী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পান ৬ নম্বর সহসভাপতি এম এ আজিজ। গত ২৩ জানুয়ারি এম এ আজিজ মারা যান।

আরও পড়ুন: