মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা ফের শুনানি হবে

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী

দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাস বাতিল ​করে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টে এখন মামলাটি পুনরায় শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে তিনি এ ব্যাপারে জানাবেন। বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নিয়ে জানাবেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার দায়ে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ২০০৯ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। গত ১৪ জুন আপিল বিভাগ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন মায়া। আজ তা খারিজ করে দেওয়া হয়।

সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৩ জুন রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই মামলাটি করে দুদক। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর মায়া, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী, দুই ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী ও রাশেদুল হোসেন চৌধুরী এবং সাজেদুলের স্ত্রী সুবর্ণা চৌধুরীকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৯ হাজার টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। ৫ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করে ৬ কোটি ২৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার সম্পদ নিজেদের দখলে রেখেছেন। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত মায়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করলেও মামলার বাকি আসামিদের খালাস দেন।