প্রয়োজনীয় মালপত্র

হজের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র সংগ্রহ করা দরকার। যেমন: ১. বিমানের টিকিট, ডলার কেনা, ২. পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, টাকা রাখার জন্য গলায় ঝোলানো ছোট ব্যাগ, ৩. পুরুষের জন্য ইহরামের কাপড় কমপক্ষে দুই সেট (প্রতি সেটে শরীরের নিচের অংশে পরার জন্য আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ এক টুকরা কাপড় আর গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ এক টুকরা কাপড়। ইহরামের কাপড় হবে সাদা। সুতি হলে ভালো হয়) আর নারীদের জন্য সেলাইযুক্ত স্বাভাবিক পোশাকই ইহরামের কাপড় ৪. নরম ফিতাওয়ালা স্পঞ্জের স্যান্ডেল, ৫. ইহরাম পরার কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হলে কটিবন্ধনী (বেল্ট), ৬. গামছা, তোয়ালে, ৭. লুঙ্গি, গেঞ্জি, পায়জামা, পাঞ্জাবি (আপনি যে পোশাক পরবেন), ৮. সাবান, পেস্ট, ব্রাশ, মিসওয়াক, ৯. নখ কাটার যন্ত্র, সুই-সুতা, ১০. থালা, বাটি, গ্লাস, ১১. হজের বই, কোরআন শরিফ, ধর্মীয় পুস্তক, ১২. কাগজ-কলম, ১৩. শীতের কাপড় (মদিনায় ঠান্ডা পড়ে), ১৪. প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, চশমা ব্যবহার করলে অতিরিক্ত একটি চশমা (ভিড় বা অন্য কোনো কারণে ভেঙে গেলে ব্যবহারের জন্য), ১৫. বাংলাদেশি টাকা (দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য), ১৬. নারীদের জন্য বোরকা, ১৭. যত দিন বিদেশে থাকবেন, সেই অনুযায়ী নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ ওষুধ নেবেন, ১৮. মোবাইল সেট (সৌদি আরবে ব্যবহার করা যায়, তেমন সিম কিনে নিতে হবে) ১৯. মালপত্র নেওয়ার জন্য ব্যাগ অথবা স্যুটকেস (তালা-চাবিসহ) নিতে হবে। ব্যাগের ওপর ইংরেজিতে নিজের নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর লিখতে হবে। এর বাইরে আরও কিছু প্রয়োজনীয় মনে হলে তা নিয়ম মেনে সঙ্গে নিতে হবে।
হজ করতে যাচ্ছেন-যাত্রার শুরুতে নিজেকে এমনভাবে মানসিকভাবে তৈরি করে নিন, যেন দেহ-মনে কোনো কষ্ট না থাকে। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে হজ হলো দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত এবং শ্রমসাধ্য ব্যাপার।
মালপত্র হালকা রাখুন, কারণ নিজের মালপত্র নিজেকেই বহন করতে হবে। সঙ্গীদের সম্মান করুন, তাঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকৃত ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দলের (গ্রুপের) দুর্বল বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। সৌদি আরবে গিয়ে বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজ হারাম শরিফে জামাতে আদায় করার চেষ্টা করবেন (অনেকে বাসায় অথবা মহল্লার মসজিদে নামাজ আদায় করেন)। যাত্রার শুরুতে ভালো সফরসঙ্গী খুঁজে নেবেন, যাতে নামাজ পড়তে ও চলাফেরায় একে অন্যের সাহায্য নিতে পারেন।
আপনি হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাচ্ছেন; সেখানকার মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে, রাস্তাঘাট অচেনা। হজযাত্রীদের সেবা করার জন্য সৌদি আরব ও বাংলাদেশ সরকার নানা রকম ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

ঢাকার হজ ক্যাম্প

  •  হাজি ক্যাম্পে যত দিন অবস্থান করবেন, নিজের মালপত্রের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
  •  কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন নেওয়া বাকি থাকলে অবশ্যই তা নিয়ে নিন।
  •  বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে নিন।

ইহরাম
ইহরাম অর্থ সংকল্প বা নিয়ম-বিশেষ। মক্কার কাছে নির্দিষ্ট স্থানে বিধি মেনে হজ বা ওমরাহ করার সংকল্প করাকে ইহরাম বলে। আপনার গন্তব্য ঢাকা থেকে মক্কায়, নাকি মদিনায় তা জেনে নিন। যদি মদিনায় হয়, তাহলে এখন ইহরাম বাঁধা নয়। যখন মদিনা থেকে মক্কায় যাবেন, তখন ইহরাম বাঁধতে হবে। বেশির ভাগ হজযাত্রী আগে মক্কায় যান। যদি মক্কা যেতে হয়, তাহলে ঢাকা থেকে বিমানে ওঠার আগে ইহরাম বাঁধা ভালো (কারণ, জেদ্দা পৌঁছানোর আগে ইয়ালামলাম হচ্ছে ‘মিকাত’ বা ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থান।)। যদিও বিমানে ইহরাম বাঁধার কথা বলা হয়, কিন্তু ওই সময় অনেকে ঘুমিয়ে থাকেন। তা ছাড়া বিমানে পোশাক পরিবর্তন করাটা দৃষ্টিকটু। বিনা ইহরামে মিকাত পার হলে এ জন্য দম বা কাফফারা দিতে হবে। তদুপরি গুনাহ হবে।
ইহরাম গ্রহণের পর সাংসারিক কাজকর্ম নিষেধ। যেমন: সহবাস করা যাবে না, পুরুষদের সেলাই করা কোনো জামা, পায়জামা ইত্যাদি পরা বৈধ নয়। কথা ও কাজে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। নখ, চুল, দাড়ি-গোঁফ ও শরীরের পশমও কাটা বা ছেঁড়া যাবে না। কোনো ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না। কোনো কিছু শিকার করা যাবে না। তবে ক্ষতিকারক প্রাণী মারা যাবে। ক্ষতি করে না, এমন কোনো প্রাণী মারা যাবে না।

ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম নিষিদ্ধ। হজ বা ওমরাহ পালনকারী ব্যক্তির জন্য বিনা ইহরামে যে স্থান অতিক্রম করা জায়েজ নয়, তা-ই হলো মিকাত। বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘরের সম্মানার্থে প্রত্যেককে নিজ নিজ মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধতে হয় । (মিকাত পাঁচটি-১. জুল হুলায়ফা বা বীরে আলী: মদিনাবাসী মক্কায় প্রবেশের মিকাত, ২. ইয়ালামলাম: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থেকে জেদ্দা হয়ে মক্কা প্রবেশের মিকাত। ৩. আল-জুহফা: সিরিয়া, মিসর এবং সেদিক থেকে আগতদের জন্য মিকাত। ৪. কারনুল মানাজিল বা আসসায়েল আল-কাবির: নাজদ থেকে আগতদের জন্য মিকাত এবং ৫. জাতু ইর্ক: ইরাক থেকে আগতদের জন্য মিকাত।)

ব্যাগের নিয়মকানুন

  •  বিমানে উড্ডয়নকালে হাত ব্যাগে ছুরি, কাঁচি, দড়ি নেওয়া যাবে না। হজযাত্রীর লাগেজে নিজের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, হজ এজেন্সির নাম-ঠিকানা ইংরেজিতে লেখা প্রয়োজন।
  •  নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নিতে হবে।

ঢাকা বিমানবন্দর

  • উড্ডয়নের সময় অনুযায়ী বিমানবন্দরে পৌঁছান। আপনার নাম-ঠিকানা লেখা ব্যাগ বা স্যুটকেসে কোনো পচনশীল খাবার রাখবেন না। বিমানের লাগেজে যে মালপত্র দেবেন, তা ঠিকমতো বাঁধা হয়েছে কি না, দেখে নেবেন। বিমানের কাউন্টারে মাল রাখার পর টোকেন দিলে তা যত্ন করে রাখবেন। কারণ, জেদ্দা বিমানবন্দরে ওই টোকেন দেখালে নির্দিষ্ট ব্যাগটি ফেরত পেয়ে যাবেন। ইমিগ্রেশনে চেকিংয়ের পর নিজ মালপত্র যত্নে রাখুন।
  •  বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট, টিকা দেওয়ার কার্ড, অন্য কাগজপত্র, টাকা, বিমানে পড়ার জন্য ধর্মীয় বই ইত্যাদি গলায় ঝোলানোর ব্যাগে যত্ন করে রাখুন। সময়মতো বিমানে উঠে নির্ধারিত আসনে বসুন।

ইমিগ্রেশন

  •  বিমান থেকে নামার পর দেখবেন, একটি হলঘরে বসার ব্যবস্থা করা আছে। অবতরণ কার্ড, হেলথ কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি কাগজপত্র বের করুন। এই হলঘরের পাশেই ইমিগ্রেশন কাউন্টার। ইমিগ্রেশন পুলিশ ভিসা দেখে (ছবি ও আঙুলের ছাপ নিয়ে) পাসপোর্টের নির্দিষ্ট পাতায় সিল দেবেন। বিমানের বেল্টে মালামাল খুঁজে নিরাপত্তা-তল্লাশির জন্য মালামাল দিন। তারপর মোয়াল্লেমের কাউন্টার। সৌদি আরবে বিমানবন্দরে নামার পর থেকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে হাজিদের মক্কা-মদিনায় পৌঁছানো, মক্কা-মদিনায় আবাসন, মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতে থাকা-খাওয়া, যাতায়াতসহ সবকিছুর ব্যবস্থা যাঁরা করেন, তাঁদের বলা হয় মোয়াল্লেম। সৌদি আরবের নাগরিকেরাই হতে পারেন মোয়াল্লেম। প্রত্যেক মোয়াল্লেমের নির্দিষ্ট নম্বর আছে। মোয়াল্লেমের কাউন্টার থেকে মিলিয়ে নেবেন তার অধীন কোন কোন হাজি সৌদি আরবে এসে পৌঁছেছেন।
  •  লাল-সবুজ পতাকা অনুসরণ করে ‘বাংলাদেশের প্লাজায়’ পৌঁছাবেন। হজ টার্মিনাল শুধু হজযাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। শুধু হজের সময় (জিলকদ, জিলহজ ও মহররম মাসে) এটি চালু থাকে। বছরের বাকি সময় বন্ধ থাকে। বিমানবন্দর টার্মিনালের চারদিক খোলা। ঐতিহ্যবাহী তাঁবুর নকশায় করা ছাদ। এই হজ টার্মিনালের স্থপতি কিন্তু বাংলাদেশি। নাম ফজলুর রহমান খান, যিনি এফ আর খান নামে পরিচিত।

জেদ্দা বিমানবন্দর হজ টার্মিনাল

  •  হজ টার্মিনালের ‘বাংলাদেশ প্লাজায়’ গিয়ে অপেক্ষা করুন। অপেক্ষা দীর্ঘ হতে পারে, ধৈর্য হারাবেন না। সেখানে অজু করা, নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। বসার জন্য চেয়ারও রয়েছে। প্রতি ৪৫ জনের জন্য একটি বাসের ব্যবস্থা। মোয়াল্লেমের গাড়ি আপনাকে জেদ্দা থেকে মক্কায় যে বাড়িতে থাকবেন, সেখানে নামিয়ে দেবে। মোয়াল্লেমের নম্বর (আরবিতে লেখা) কবজি বেল্ট দেওয়া হবে আপনাকে, তা হাতে পরে নেবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র (যাতে পিলগ্রিম নম্বর, নাম, ট্রাভেল এজেন্টের নাম ইত্যাদি থাকবে) গলায় ঝোলাবেন।
  •  জেদ্দা থেকে মক্কায় পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। চলার পথে তালবিয়া পড়ুন (লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...)।

মক্কায় পৌঁছানোর পর

  • মক্কায় পৌঁছে আপনার থাকার জায়গায় মালপত্র রেখে ক্লান্ত থাকলে বিশ্রাম করুন। আর যদি নামাজের ওয়াক্ত হয়, নামাজ আদায় করুন। বিশ্রাম শেষে দলবদ্ধভাবে ওমরাহর নিয়ত করে থাকলে ওমরাহ পালন করুন।
  •  মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) অনেক প্রবেশপথ আছে। সব কটি দেখতে একই রকম। কিন্তু প্রতিটি প্রবেশপথে আরবি ও ইংরেজিতে ১, ২, ৩ নম্বর ও প্রবেশপথের নাম আছে, যেমন ‘বাদশা আবদুল আজিজ প্রবেশপথ’। আপনি আগে থেকে ঠিক করবেন, কোন প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকবেন বা বের হবেন। সফরসঙ্গীকেও স্থান চিনিয়ে দিন। তিনি যদি হারিয়ে যান, তাহলে নির্দিষ্ট নম্বর গেটের সামনে থাকবেন। এতে ভেতরে ভিড়ে হারিয়ে গেলেও নির্দিষ্ট স্থানে এসে সঙ্গীকে খুঁজে পাবেন।
  •  কাবা শরিফে জুতা-স্যান্ডেল রাখার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকবেন, নির্দিষ্ট স্থানে জুতা রাখার জায়গায় রাখুন। যেখানে-সেখানে জুতা রাখলে পরে খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রতিটি জুতা রাখার র‌্যাকেও নম্বর দেওয়া আছে। এই নম্বর মনে রাখুন। চাইলে জুতা বহন করার ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারেন।
  •  কাবা ঘরের চারটি কোণের আলাদা নাম আছে: হাজরে আসওয়াদ, রকনে ইরাকি, রকনে শামি ও রকনে ইয়ামেনি। হাজরে আসওয়াদ বরাবর কোণ থেকে শুরু হয়ে কাবাঘরের পরবর্তী কোণ রকনে ইরাকি (দুই কোণের মাঝামাঝি স্থান মিজাবে রহমত ও হাতিম)। তারপর যথাক্রমে রকনে শামি ও রকনে ইয়ামেনি। এটা ঘুরে আবার হাজরে আসওয়াদ বরাবর এলে তাওয়াফের এক চক্কর পূর্ণ হয়। এভাবে একে একে সাত চক্কর দিতে হয়।
  •  ওমরাহর নিয়মকানুন আগে জেনে নেবেন। এসব কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে হবে, যেমন: সাতবার তওয়াফ করা, নামাজ আদায় করা, জমজমের পানি পান করা, সাঈ করা (সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো-যদিও মসৃণ পথ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত), মাথা ন্যাড়া অথবা চুল ছোট করা। ওয়াক্তের নামাজের সময় হলে, যতটুকু হয়েছে ওই সময় নামাজ পড়ে আবার বাকিটুকু শেষ করা।

কাবা শরিফ

  • কাবা শরিফে প্রবেশ করার সময় বিসমিল্লাহ ও দরুদ শরিফ পড়ার পর ‘আল্লাহুম মাফ তাহলি আব্ওয়াবা রাহমাতিকা’ পড়বেন। মসজিদুল হারামে কোনো নারীর পাশে অথবা তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা উচিত নয়।
  • কোনো দরজার সামনে নামাজ পড়া ঠিক নয়, এতে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

ইহরাম সম্পর্কে জরুরি বিষয়

  •  যাঁরা সরাসরি বাংলাদেশ থেকে মক্কা শরিফ যাবেন, তাঁরা বাড়িতে, হাজি ক্যাম্পে বা বিমানে ইহরাম করে নেবেন। বাড়িতে বা হাজি ক্যাম্পে ইহরাম করে নেওয়া সহজ। ইহরাম ছাড়া যেন মিকাত অতিক্রম না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
  • যাঁরা মদিনা শরিফ যাবেন, তাঁরা মদিনা থেকে মক্কা যাওয়ার সময় ইহরাম করবেন। কোনো নারী প্রাকৃতিক কারণে অপবিত্র হয়ে থাকলে ইহরামের প্রয়োজন হলে অজু-গোসল করে নামাজ ছাড়া ‘লাব্বাইক’ পড়ে ইহরাম করে নেবেন। তাওয়াফ ছাড়া হজ, ওমরাহর সমস্ত কাজ নির্ধারিত নিয়মে আদায় করবেন।