নির্বাচনী আমেজ আনতে আ.লীগের আনন্দ মিছিল

নির্বাচনী আমেজ আনতে ঢাকায় আনন্দ মিছিল করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশে আনন্দ মিছিল করে দলটি।

মিছিলটি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। তবে আজকের মিছিলে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা, ‘নৌকা’ এবং ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান মুখর করে রাখে পুরো এলাকা। তবে আনন্দ মিছিলে দলটির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল কম।

‘তফসিল ঘোষণার সঙ্গে আনন্দ মিছিলের সম্পর্ক কী’ জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘নির্বাচন হবে কি হবে না, সেটা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ ছিল। তফসিল ঘোষণার পর সেই সন্দেহ আর থাকল না। যথাসময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় আমরা ইসিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছি। এর মাধ্যমে সমগ্র দেশে নির্বাচনী আমেজ ফিরিয়ে এসেছে।’

এদিকে আনন্দ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন জাতিকে আশ্বস্ত করেছে। এখন সমগ্র দেশে আনন্দের সুবাতাস বইছে।’ তিনি বলেন, তারা (বিরোধী দল) রাজনৈতিক কর্মী নিয়ে নয়, সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছে।

সমাবেশে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এ জন্য আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এবারও নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। দেশব্যাপী সন্ত্রাসের তাণ্ডব শুরু করেছে, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে ভাত চাই—এই স্লোগানে ’৭০ সালে নির্বাচন ভাসানী প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনিও লাভবান হতে পারেননি। আর আপনারা (বিএনপি) সহিংসতা করে আঁঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।’ বিএনপিকে সহিংসতা ছেড়ে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান সাবেক এই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

সমাবেশে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন করতে সমগ্র জাতির সঙ্গে আওয়ামী লীগও প্রস্তুত। কিন্তু একটি গোষ্ঠী তা বানচালের অপচেষ্টা করছে, তারা লাভবান হবে না।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।