শিগগিরই বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমতে পারে

শুরু হয়েছিল চুয়াডাঙ্গা দিয়ে, ৬ এপ্রিল। সেই দিন ওই জেলায় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়েছিল। এর পর দাবদাহের দাপট সিলেট ছাড়া ঘুরে প্রায় সারা দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। ১৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজও উত্তাপের ভোগান্তি থেকে রেহাই মিলছে না। বরং গতকাল বৃহস্পতিবারের দাবদাহ আজও দেশের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা দিয়ে বয়ে যাবে। তবে দুই-তিন দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, বাংলাদেশের তাপপ্রবাহগুলো সাধারণত তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়ে থাকে। বিশেষ করে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দাবদাহ শুরু হয়। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ বৈশাখের শুরুতে কালবৈশাখী ঝড় হয়। সঙ্গে আসে স্বস্তির বৃষ্টি। ফলে দাবদাহের দাপট কমে আসে। এপ্রিল ও মে মাসে বড়জোর তিন থেকে সাত দিন ওই দাবদাহের দাপট থাকে। কিন্তু চলতি বছর মার্চে দুটি কালবৈশাখী ঝড় হলেও এপ্রিলে এখনো কালবৈশাখীর দেখা মেলেনি। অর্থাৎ কালবৈশাখী আগে-ভাগে এসে হানা দিয়ে গেলেও তার যে সময়ে আসার কথা অর্থাৎ বৈশাখে তার দেখা মিলছে না। ফলে দাবদাহের দাপটও এবার গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। টানা ১৫ দিনের দাবদাহের দাপটে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, দাবদাহটি মাঝখানে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। গত দুই দিন ধরে এটি আবার শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তবে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে।
এদিকে গত চার দিন ধরে সারা দেশের আবহাওয়ার উল্টো চিত্র ছিল সিলেটে। দুই দিন ধরে ওই জেলার বৃষ্টিপাত ধীরে ধীরে কমে আসছিল। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার পর তিন ঘণ্টায় আবার ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সিলেটসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকার কৃষকদের জন্য অবশ্য এই বৃষ্টি পাকা ধান নষ্ট হওয়ার নিয়ে ভয় আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আজ রাজধানীতে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শেষ দিন হওয়ায় রাজধানীতে যানজটও ছিল বেশি। যানজট আর গরম—দুইয়ে মিলে নগরবাসীর ভোগান্তি ছিল অসহনীয়।