১৬তম দিনে দাবদাহ, সিলেটে প্রবল বৃষ্টি

দাবদাহ আবার বেড়েছে। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দু-তিন দিন ধরে যে দমকা হাওয়া বইছিল, তাতেও গরমের আঁচ লেগেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর আকাশজুড়ে কালো মেঘের ওড়াউড়ি আর দমকা বাতাস দাবদাহ কমার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে দুপুর গড়াতেই তা তাতানো গরম আর লু হাওয়ায় রূপান্তরিত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, ৬ এপ্রিল শুরু হওয়া দাবদাহ গতকাল ১৬তম দিন অতিক্রম করেছে। ১৬তম দিনে রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়েছে। এর আগে ১১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উঠেছিল। চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা গতকালও ওই মাত্রায় উঠেছিল। রাজধানীর তাপমাত্রা আরও বেড়ে হয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ জেলা শহরে প্রচণ্ড গরমে দিনে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল ছিল কম।

দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলজুড়ে গতকাল মানুষ দাবদাহে অতিষ্ঠ হলেও সিলেটে হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সিলেটে গতকাল ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কুতুবদিয়ায় ১ মিলিমিটার এবং সীতাকুণ্ড ও কক্সবাজারে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ শনিবারও সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগ ও ময়মনসিংহ জেলার কিছু কিছু স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সিলেটে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সারা দেশে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বাড়তে পারে। তাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

সিলেটে এক সপ্তাহ ধরে চলা বৃষ্টির কারণে হঠাৎ বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সংস্থাটি প্রতিবেদনে বলেছে, এ জেলার হাওর এলাকায় হঠাৎ বন্যার প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ওই অঞ্চলের হাওরগুলোর পাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, গরমের কারণে শিশুরা ব্যাকটেরিয়ার ডায়রিয়া এবং গায়ে ঘাম বসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।