ড. কামাল আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, যারা ২০০৭ সালের সাজানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের তো ২০০৮ সালের নির্বাচনের বিরুদ্ধে যাওয়া শোভা পায় না। তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালের মতো কোনো দলীয় ব্যক্তি, নির্বাচন কমিশনার ও প্রশাসনের অধীন সাজানো নির্বাচন চাই না। ২০০৮ সালের মতো নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সে ধরনের সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন চাই।’
সংকটের সমাধান না হলে এবং সহিংসতা চলতে থাকলে তৃতীয় কোনো পক্ষের ক্ষমতা গ্রহণের আশঙ্কা আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের আশঙ্কা থাকে। তবে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের আন্দোলনে আছি, এর মধ্যেই থাকব।’ তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা ছাড়া এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী আইন, আচরণবিধি, জামানত ও নির্বাচনী ব্যয়সহ সামগ্রিকভাবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ সুনিশ্চিত করা ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা সুব্রত চৌধুরী, মফিদুল ইসলাম খান কামাল, শফিক উল্লাহ, সাঈদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।