প্রধানমন্ত্রী চাইলে এক মিনিটেই সমাধান

ড. কামাল হোসেন
ড. কামাল হোসেন

বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে এক মিনিটেই সংকটের সমাধান হতে পারে। তিনি যদি বলেন, আমি আম্পায়ার হতে চাই না, সরে দাঁড়াচ্ছি। তাতেই সমাধান হয়ে যাবে।’ তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীকে এখন পদত্যাগের কথা বিবেচনা করা উচিত।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে নিজ বাড়ির সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। সরকার ও প্রধান বিরোধী দলকে নেতিবাচক আচরণ পরিহার করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জনগণ উনাকে ক্ষমতা দিয়েছে, ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ক্ষমতা ভোগ করেছেন। এখন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, এখন তাঁর পদত্যাগের কথা বিবেচনা করা উচিত।’ তিনি বলেন, সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক রাজনীতি অব্যাহত রাখতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো বিকল্প নেই।
গণফোরামের সভাপতি বলেন, দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন জনগণকে খাওয়ানো যাবে না। তিনি ২০০৮ সালের মতো নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আদালত আরও দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার পক্ষে মত দিয়েছিল। কোর্ট উনাকে বাধ্য করেনি সংবিধানের এ সংশোধনী করার জন্য।’

ড. কামাল আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, যারা ২০০৭ সালের সাজানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের তো ২০০৮ সালের নির্বাচনের বিরুদ্ধে যাওয়া শোভা পায় না। তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালের মতো কোনো দলীয় ব্যক্তি, নির্বাচন কমিশনার ও প্রশাসনের অধীন সাজানো নির্বাচন চাই না। ২০০৮ সালের মতো নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সে ধরনের সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন চাই।’

সংকটের সমাধান না হলে এবং সহিংসতা চলতে থাকলে তৃতীয় কোনো পক্ষের ক্ষমতা গ্রহণের আশঙ্কা আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের আশঙ্কা থাকে। তবে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের আন্দোলনে আছি, এর মধ্যেই থাকব।’ তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা ছাড়া এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী আইন, আচরণবিধি, জামানত ও নির্বাচনী ব্যয়সহ সামগ্রিকভাবে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ সুনিশ্চিত করা ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা সুব্রত চৌধুরী, মফিদুল ইসলাম খান কামাল, শফিক উল্লাহ, সাঈদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।