সীতাকুণ্ডে আ.লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, গুলিবিদ্ধ ১১

সীতাকুণ্ডের কাজীপাড়া এলাকায় ছলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীনের বাড়িসহ তিনটি বাড়িতে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। এ সময় ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রোকন উদ্দিন মেম্বারের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মো. ইছহাক, মোক্তার হোসেন, ফরিদা বেগম, ইকবাল হোসেন, মিনহাজ উদ্দীন, মো. আরমান, মো. তুষার, মো. শওকত, রোজি আক্তার, মো. তামিম ও শামছুন নাহার। এর মধ্যে চারজন চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। অন্যরা চিকিত্সা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঘটনার শিকার কয়েকজন অভিযোগ করেন, রাত তিনটার দিকে গোলাম মহিউদ্দীনের বাড়িতে হামলা চালান বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা গোলাম মহিউদ্দীনের ঘরসহ তিনটি ঘর ভাঙচুর করেন ও একটি দোকানে লুটপাট চালান। তাঁদের ছোড়া ছররা গুলিতে ১১ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁরা বলেন, গোলাম মহিউদ্দীন এ সময় বাড়িতে থাকলেও তিনি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হন। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম নয়জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তবে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ১১ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’

যুবদলের নেতা রোকন ও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আনোয়ার সিদ্দিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রতিবারই তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি শওকতের মুঠোফোন খোলা থাকলেও তিনি ফোন ধরেননি।