সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ১৩ ডিসেম্বরের পর সিদ্ধান্ত

কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ
কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ১৩ ডিসেম্বরের পর সিদ্ধান্ত হবে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই ইঙ্গিত দেন।
সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিজিবির মহাপরিচালক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং অন্য বাহিনী ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কবে থেকে সেনা মোতায়েন করা হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে।’ সাধারণত মনোনয়ন প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়।
কাজী রকিব বলেন, আপাতত নির্বাচনের মাঠে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ড থাকবে। তবে নির্বাচন যেহেতু এক দিনে হবে তাই নিয়মিত বাহিনীর পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভন না-ও হতে পারে। তাই আগে যেমন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।
একতরফা নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে নামানো হলে বাহিনীটি বিতর্কিত হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, বিতর্কের কিছু নেই। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন যেমন চাইবে তারা সব সময় তেমন সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার আশা এখনো ছাড়িনি। সমঝোতা হলে সব দলের অংশ গ্রহণের মধ্য নিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
বৈঠকে নির্বাচনী মালামাল, নির্বাচনী অফিস ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
কাজী রকিব বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে বৈঠকে পুলিশ প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে।
গত সোমবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জানুয়ারি রোববার ভোট নেওয়া হবে।
তফসিল ঘোষণার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। গতকাল বুধবার অবরোধ কর্মসূচি আরও ২৩ ঘণ্টা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জোট। আগামীকাল শুক্রবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সারা দেশে জোটের এই কর্মসূচি চলবে। অবরোধে সহিংসতায় গত দুই দিনে ১৭ জন নিহত হয়েছে।