'আ.লীগ-বিএনপি টিকফায় এক, দেশ-জনগণের স্বার্থে নয়'

সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের নেতারা বলেন, শাসক জোটের একগুঁয়েমির কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির সুযোগে বিরোধী ১৮-দলীয় জোট সারা দেশে সহিংসতাকে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে একতরফা নির্বাচনে সিপিবি-বাসদ অংশ নেবে না।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। সূচনা বক্তব্য দেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। লিখিত বক্তব্য পড়েন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, বর্তমান ভয়ার্ত পরিবেশ থেকে মুক্তি এবং সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় মানুষ। একতরফা নির্বাচন হলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে পড়বে। চলমান সহিংসতার মধ্যেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি এক হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সরকার তড়িঘড়ি করে নির্বাচনকালীন সরকারের এখতিয়ারের বাইরে টিকফা চুক্তি করেছে। অন্যদিকে বিএনপিও চুক্তির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এক হয়ে যেতে পারে। তার জন্য কোনো আলোচনা, সংলাপের প্রয়োজন হয় না। অথচ দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা এক হতে পারে না। দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সদিচ্ছা থাকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চলমান সংকটের সমাধান সম্ভব।   

খালেকুজ্জামান বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির চক্র ও সাম্রাজ্যবাদ তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে তত্পর হয়ে উঠেছে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবেই বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

এ ছাড়াও ৩০ নভেম্বর দেশের সব জেলা-উপজেলায় দাবি দিবসের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করা, হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ খুন, বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগসহ ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ করা এবং টিকফা চুক্তি বাতিলের দাবিতে ওই দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হায়দার আকবর খান রনো, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাজ্জাদ জহির চন্দন, আহসান হাবিব লাবলু, জাহেদুল হক মিলু, রাজেকুজ্জামান রতন, আবদুল কাদের, মাহবুবুল আলম, রুহিন হোসেন প্রিন্স, শাহীন রহমান, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন ও জলি তালুকদার।