বগুড়ায় কোচিং সেন্টার পরিচালকের কারাদণ্ড, জরিমানা

কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা এবং মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন একজন শিক্ষক। তিনি বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার আইরিশ কোচিং সেন্টারের পরিচালক মাহমুদুর রহমান (৩০)।

মুঠোফোনে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাহমুদুরকে আজ বৃহস্পতিবার শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে কৌশলে আটক করেছে পুলিশ। পরে  ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয় তাঁকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ফেরদৌস জামান মাহমুদুরকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।

বগুড়ার সদর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া জানান, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বামুনিয়া গ্রামের মাহমুদুর শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় আইলিট কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পড়াতেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠলে তাঁকে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোজাম্মেল হক জানান, সম্প্রতি আইলিট কোচিং সেন্টারের পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শহরের রহমান নগর এলাকার ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন অভিভাবক মাহমুদুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়, একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে খুদে বার্তা পাঠাতেন মাহমুদুর। ওই বার্তায় স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অভিভাবকদের কাছে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করতেন তিনি। এসব অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। পরে পুলিশ মাহমুদুরের ব্যবহূত নম্বরটি শনাক্ত করতে প্রযুক্তির ফাঁদ পাতে।  পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, ‘মাহমুদুর আমার মেয়েকে পড়াতেন। এ কারণে তাঁর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। পরিবারের সবাই তাঁকে ভালো ছেলে হিসাবেই চিনতেন। বেশ কিছুদিন  থেকে অচেনা একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে তিনি ১০ হাজার টাকা না দিলে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি দেন। একই সঙ্গে আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও কথা বলেন।’