উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি ও দুর্নীতির অভিযোগ গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। এতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বিভাগের সহকারী পরিচালক আরিফ বিল্লাহ ওই তদন্ত করেন। গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও ভুক্তভোগী শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী কয়েকজন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রঙ্গলাল রায়ের উপস্থিতিতে শিক্ষক বদলি ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার রঙ্গলাল রায় বলেন, ‘রাজনৈতিক চাপের কারণে কয়েকজন শিক্ষককে নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলির সুপারিশ ও বদলি করা হয়েছে।’ তিনি ঘুষ নিয়ে এ কাজ করেননি বলে দাবি করেন। এ সময় তিনি সরকারদলীয় কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করেন। তাঁরা সবাই উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য।
প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বিভাগের এডি আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশে এ তদন্ত করেছি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে। তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।’
৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রাথমিকে বদলি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।