পাসের হার বেড়েছে কমেছে জিপিএ-৫

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার বেড়েছে। তবে জিপিএ-৫ কমেছে। এবার গড় পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৬৬ জন। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ ছাড়া গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১৮৬ জন।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার ৮৪ হাজার ৪৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাস করেছে ৭১ হাজার ৫৮৬ জন। পাস করাদের মধ্যে ৩২ হাজার ৩১৮ জন ছেলে এবং ৩৯ হাজার ২৬৮ জন মেয়ে। গড় পাসের হারের দিক দিয়ে ছেলেরা ৮৫ দশমিক ৭৯ এবং মেয়েরা ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছে।
মোট ২ হাজার ২৬৬টি জিপিএ-৫ এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ২২৫ জন এবং মেয়ে ১ হাজার ৪১ জন। গত বছর ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করলেও এবার সে সংখ্যা বেড়েছে। এবার ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামছুল ইসলাম গতকাল ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম আলোকে বলেন, ‘সার্বিক ফলাফলে আমরা খুশি। তবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এখনো সৃজনশীল পদ্ধতিতে অভ্যস্ত না হতে পারায় পাসের হার আশানুরূপ হয়নি। এতে গড় পাসের হারে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। তবে ভবিষ্যতে এটি কাটিয়ে উঠতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
পাসের হারে পিছিয়েছে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা: পাসের হার দিক দিয়ে গতবারের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এবার বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গতবার যা ছিল ৯৫ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে এবার গতবারের চেয়ে ভালো ফল করেছে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মানবিক বিভাগে এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৮। গতবার যা ছিল ৭৬ দশমিক ৪৬। এবার এ বিভাগে পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৫২। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এবার পাসের হার ৯১ দশমিক ২২। গতবার ছিল ৮৯ দশমিক ২৮।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার বিষয়টিকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে তাদের অভ্যস্ত হতে না পারাকেই প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছে শিক্ষা বোর্ড। তাই ভবিষ্যতে এটি কাটিয়ে উঠতে যেসব উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, বোর্ড কর্তৃপক্ষ সেসব যথাযথভাবে নেবে।
যেখানে কেউ পাস করেনি: ২০১২ সালের পর থেকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে শতভাগ অকৃতকার্য হয়েছে—এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। তবে এবার সে তালিকায় একটি বিদ্যালয় রয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ললুয়ারচর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার তিনজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে প্রত্যেকেই অকৃতকার্য হয়েছে। এবারই এ প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামছুল ইসলাম।