গঙ্গাচড়ার তিন ইউনিয়নে প্রার্থী পায়নি বিএনপি

সাংগঠনিক দুর্বলতা ও উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপি তিনটিতে প্রার্থী দিতে পারেনি। এদিকে মর্ণেয়া ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী মীর কাশেমের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হলেও আপিল করার পর গতকাল রোববার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তিনি।   

এদিকে নয় ইউনিয়নের যে তিন ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী নেই সেগুলো হলো বেতগাড়ি, কোলকোন্দ ও বড়বিল ইউনিয়ন। তবে এই তিন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

কোলকোন্দ ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়া প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন বিএনপির একজন নেতা বলেন, দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে এ কথা ঠিক। এরপরও দলের পক্ষে প্রার্থী দেওয়া যেত। অন্য কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাজ করতে পারেন বলে এসব ইউনিয়নে প্রার্থী দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওহাহেদুজ্জামান মাবু বলেন, তিন ইউনিয়নে নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে দলের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়। এসব ইউনিয়নে দলের পক্ষ থেকে কেউ নির্বাচন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তাই প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মর্ণেয়া ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর কাশেম বলেন, ‘প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর আমি জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আপিল করলে আজ (গতকাল) প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি।’ 

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নয় ইউনিয়নে নয়জন চেয়ারম্যান, ৮১টি ইউনিয়নে ৮১ জন সাধারণ সদস্য ও ২৭ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ১১৭ জন প্রার্থীর বিপরীতে ৫৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

গঙ্গাচড়ার নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ৬২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৪০০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। আগামী ৪ জুন এখানে ষষ্ঠ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে।