কালুখালীতে আ.লীগ প্রার্থীর 'নির্বাচনী ভোজ'

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নে এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘নির্বাচনী ভোজ’ ও মোটর শোভাযাত্রা আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রার্থীর নাম মো. শহীদুজ্জামান সাগর মোল্লা। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৮ মে এই উপজেলার সাতটি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল সোমবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে মৃগী ইউনিয়নের মৃগী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দেখা যায়, পশ্চিম দিকে একটি বড় আকারের প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পাশেই পাঁচটি চুলায় রান্না চলছে। রান্না শুরু হয়েছে সকাল থেকে। রান্না করা খাবার পাশের কক্ষে নিয়ে রাখা হচ্ছে। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চারটি গরু ও আটটি খাসি জবাই করা হয়েছে। কয়েক হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সারি সারি প্লেট।
শহীদুজ্জামান সাগর মোল্লা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘কিছু গাড়ি নিয়ে আমার শোডাউন করা হয়েছে। নির্বাচনী সভায় এমপি মহোদয় আসবেন। হাজার দেড়েক মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারটি গরু ও আটটি খাসি জবাই করা হয় নাই। তবে গোসত আনা হয়েছে।’ কয়টি গরু জবাই করা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ সময় পাশেই মোটরসাইকেল, নছিমন ও ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে নৌকা প্রতীকের মহড়ার প্রস্তুতি চোখে পড়ে। কতগুলো গাড়ি আছে, জানতে চাইলে মহড়ার তদারককারী কয়েকজন জানান, প্রায় আট শ গাড়ি আনা হয়েছে। মৃগী বাজার থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃগী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে নির্বাচনী ভোজের আয়োজন করা হয়। ভোজ শেষে সন্ধ্যার দিকে মাঠের জনসভায় আসেন স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।
কালুখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় কর্মিসভা বা জনসভা করার বিধান নেই। ভোটারদের খাওয়ানো বা টাকাপয়সাও দেওয়া যাবে না। আর একসঙ্গে পাঁচটির বেশি মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন (মহড়া) করা যাবে না। এগুলো যদি কোনো প্রার্থী না মানেন, তাহলে তিনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’