দামি জিনিস নেই সাংসদ আমানুরের বাড়িতে!

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সরকারদলীয় সাংসদ আমানুর ও তাঁর তিন ভাইয়ের বাড়ির মালামাল জব্দ করতে পুলিশ আজ শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালায়। ছবি: কামনাশীষ শেখর
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সরকারদলীয় সাংসদ আমানুর ও তাঁর তিন ভাইয়ের বাড়ির মালামাল জব্দ করতে পুলিশ আজ শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালায়। ছবি: কামনাশীষ শেখর

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) ও তাঁর তিন ভাইয়ের বাড়িতে মালামাল জব্দ করতে আজ শুক্রবার অভিযান চালানো হয়। তবে তেমন মূল্যবান জিনিস মেলেনি বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়া বলেন, শহরের কলেজপাড়ার পৈতৃক বাড়িতে থাকেন তিন ভাই সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা), ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা) ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাঁকন)। পাশেই সাংসদের আরেক ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খানের (মুক্তি) বাড়ি। এই বাড়িগুলো থেকে একটি ফ্রিজ, আলমারিসহ কিছু পুরোনো আসবাব জব্দ করা হয়। এ সময় বাসায় সাংসদের বাবা আতাউর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ বলছে, আদালত থেকে ক্রোক পরোয়ানা জারির আদেশ হওয়ার পরপরই সাংসদ ও তাঁর ভাইদের বাড়ি থেকে মূল্যবান অস্থাবর সব জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা হয়। তাই অভিযানকালে তেমন কোনো দামি জিনিস পাওয়া যায়নি।

মামলায় অভিযুক্ত পলাতক অন্য আসামিদের বাড়িতে আজকেই অভিযান চালানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সরকারদলীয় সাংসদ আমানুর ও তাঁর তিন ভাইয়ের বাড়ির মালামাল জব্দ করতে পুলিশ আজ শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালায়। ছবি: কামনাশীষ শেখর
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সরকারদলীয় সাংসদ আমানুর ও তাঁর তিন ভাইয়ের বাড়ির মালামাল জব্দ করতে পুলিশ আজ শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালায়। ছবি: কামনাশীষ শেখর

ফারুক হত্যা মামলায় ১৬ মে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া সাংসদ আমানুরসহ পলাতক ১০ আসামির বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি এবং তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আমানুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাস ভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে সাংসদ আমানুরের দুই ঘনিষ্ঠজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতে সাংসদ আমানুর ও তাঁর ভাইদের ফারুক হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে তাঁরা আত্মগোপনে রয়েছেন। তদন্ত শেষে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মাহফিজুর রহমান গত ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে আমানুর ও তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।