শবে বরাতের পুষ্টিকর হালুয়া খেতে হবে পরিমিত

.
.

মহিমান্বিত রাত শবে বরাতে ইবাদতের পাশাপাশি পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাওয়াদাওয়ার রেওয়াজ আছে। আর যা-ই হোক, এদিন বাড়িতে সুজি, ডাল, গাজর বা পেঁপের হালুয়া থাকবেই। এসবের মধ্যে আবার বুটের হালুয়ার কদর বেশি। ঘরে তৈরি হালুয়া স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর বলে শিশুদের এসব অনায়াসেই দেওয়া চলে। তবে বড়দের খেতে হবে বুঝেশুনে। কারণ, হালুয়ায় আছে উচ্চ ক্যালরি। এক টুকরা হালুয়ায় আড়াই শ থেকে তিন শ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে। তাই যাঁরা বাড়তি ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা হালুয়া খাবেন পরিমিত।
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও হালুয়া পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও চর্বি। তাই বাড়ন্ত বয়সের শিশু ও নারীদের জন্য এটি উপযোগী খাবার। তবে স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত রোগী, ডায়াবেটিস ও কিডনির রোগীদের হালুয়া খেতে হবে মেপে মেপে।
ডাল, চিনি, দুধ, ঘি, বাদাম, কিশমিশ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয় মজাদার বুটের হালুয়া। বুটের হালুয়ার পুষ্টিগুণ জানতে হলে প্রথমে এই খাবারের প্রধান উপাদান ডাল, ঘি ও দুধে কী কী আছে, তা জেনে নেওয়া যাক।
১০০ গ্রাম বুটের ডালে রয়েছে ৩৭২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ২০ দশমিক ৮ গ্রাম আমিষ, ৫৯ দশমিক ৮ গ্রাম শর্করা, ৫ দশমিক ৬ গ্রাম চর্বি, ৫৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৯ দশমিক ১ মিলিগ্রাম লোহা। ১০০ গ্রাম দুধে রয়েছে ৬৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৩ দশমিক ২ গ্রাম আমিষ, ৪ দশমিক ৪ গ্রাম শর্করা, ৪ দশমিক ১ গ্রাম চর্বি ও ১২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। ১০০ গ্রাম ঘিতে রয়েছে ৯০০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি ও ১০০ গ্রাম চর্বি।
এক টুকরা বুটের ডালের হালুয়ায় রয়েছে ২৬৬ থেকে ৩২৫ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। এই পরিমাণ খাদ্যশক্তি পোড়াতে ৩৫ মিনিট খুব জোরে হাঁটতে হবে। আর জোরে হাঁটার অর্থ হলো প্রতি মিনিটে ১০০ পদক্ষেপ ফেলা। তাই যাঁরা বাড়তি মেদ চান না, তাঁরা হালুয়া খাবেন অল্প-স্বল্প। আর খেলে সেভাবে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটতে হবে। পাশাপাশি যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের এ খাবার খাওয়া বারণ। ডায়াবেটিক রোগীরা চাইলে ডায়াবেটিক চিনি (এসপারটাম যুক্ত) দিয়ে তৈরি হালুয়া খেতে পারেন।
লেখক: প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল