পলাশে হামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীর মৃত্যু

নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদলের হামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে নিহত আনোয়ার হোসেনের বাবা সুলতান মিয়া এ মামলা করেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও আসামিদের নাম জানানো হয়নি।

তুচ্ছ ঘটনায় বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ছাত্রদলের কর্মীরা উপজেলার ঘোড়াশাল এলাকার পাইকশা নূর মহসিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী ও ঘোড়াশাল টেঙ্গরপাড়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩২) এবং জিনারদী ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকার মো. মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৮)।

জানা গেছে, গত মাসে বিএনপির দলীয় কর্মসূচি পালনকালে ঘোড়াশাল এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ঢিল ছোড়া হলে সামনের দরজার কাচ ভেঙে যায়। এ সময় কার্যালয়ে ছিলেন মনিরের সহযোগী  মো. মাসুদ রানা। বিষয়টি জানতে পেরে মনির ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে হামলায় চালান।

এরই সূত্র ধরে গত ৩১ অক্টোবর ছাত্রদলের কর্মী রিপন মিয়া ও রুবেল মিয়ার নেতৃত্বে মাসুদ রানাকে ধারালো অস্ত্র কুপিয়ে জখম করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মাসুদের বড় ভাই মো. মামুন মিয়া ছাত্রদলের ১৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিপন ও রুবেল এলাকায় এলে আনোয়ার হোসেনসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী মনিরের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে আটকে রেখে তাঁদের মারধর করে পুলিশে ধরিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ঘোড়াশালের পাইকশা নূর মহসিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে  ছাত্রলীগের কর্মী আনোয়ার হোসেন, শহীদুল ইসলাম ও ইয়াসিন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেন। হাসপাতালে মারা যান আনোয়ার ও শহীদুল ইসলাম।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ মণ্ডল বলেন, মামলার এজাহার, রাজনৈতিক, ব্যক্তিগতসহ সব ধরনের বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত চলছে।

২৪ জনের নামে মামলা

পলাশে হামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীর মৃত্যু

নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদলের হামলায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে নিহত আনোয়ার হোসেনের বাবা সুলতান মিয়া এ মামলা করেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও আসামিদের নাম জানানো হয়নি।

তুচ্ছ ঘটনায় বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ছাত্রদলের কর্মীরা উপজেলার ঘোড়াশাল এলাকার পাইকশা নূর মহসিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী ও ঘোড়াশাল টেঙ্গরপাড়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩২) এবং জিনারদী ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকার মো. মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৮)।

জানা গেছে, গত মাসে বিএনপির দলীয় কর্মসূচি পালনকালে ঘোড়াশাল এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ঢিল ছোড়া হলে সামনের দরজার কাচ ভেঙে যায়। এ সময় কার্যালয়ে ছিলেন মনিরের সহযোগী  মো. মাসুদ রানা। বিষয়টি জানতে পেরে মনির ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে হামলায় চালান।

এরই সূত্র ধরে গত ৩১ অক্টোবর ছাত্রদলের কর্মী রিপন মিয়া ও রুবেল মিয়ার নেতৃত্বে মাসুদ রানাকে ধারালো অস্ত্র কুপিয়ে জখম করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মাসুদের বড় ভাই মো. মামুন মিয়া ছাত্রদলের ১৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিপন ও রুবেল এলাকায় এলে আনোয়ার হোসেনসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী মনিরের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে আটকে রেখে তাঁদের মারধর করে পুলিশে ধরিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ঘোড়াশালের পাইকশা নূর মহসিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে  ছাত্রলীগের কর্মী আনোয়ার হোসেন, শহীদুল ইসলাম ও ইয়াসিন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেন। হাসপাতালে মারা যান আনোয়ার ও শহীদুল ইসলাম।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ মণ্ডল বলেন, মামলার এজাহার, রাজনৈতিক, ব্যক্তিগতসহ সব ধরনের বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত চলছে।