১৮ দলের অবরোধ চলাকালে আবারও নাশকতা শুরু হয়েছে রেললাইনে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে রাজশাহীতে ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলা এবং চাঁদপুরে ফিশপ্লেট খুলে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীতে ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে চাঁদপুরে টহলকর্মীর সচেতনতায় রক্ষা পেয়েছে মেঘনা এক্সপ্রেস।
রাজশাহী রেল নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানা যায়, ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত একটা পাঁচ মিনিটে রাজশাহী স্টেশন ছাড়ে। রাত পৌনে দুইটার দিকে ট্রেনটি নন্দনগাছী ও সারদা স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছে। এ সময় ট্রেনটির ইঞ্জিন ও পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্বৃত্তরা রেললাইন উপড়ে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিয়ন্ত্রণকক্ষে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা এ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে জানান, এ দুর্ঘটনার ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
রক্ষা পেল আন্তনগর মেঘনা এক্সপ্রেস
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের নাওড়া নামক স্থানে রেল ব্রিজের একটি ফিশপ্লেট (জাড়া) খুলে ফেলে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি রেলের এক কর্মী দেখার ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ট্রেন মেঘনা এক্সপ্রেস।
চাঁদপুরের মেহের রেলস্টেশনের কর্মচারী আবুল কালাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ভোর পাঁচটায় চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপ্রেস ছয়টার দিকে মেহের স্টেশনে এসে পৌঁছে। এর ২০ মিনিট আগে টহলরত আবদুল বারেক ফিশপ্লেট খুলে ফেলার বিষয়টি স্টেশনে জানান। ফলে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রীসহ মেহের স্টেশনে আটকে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই সেতু মেরামতের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে গত বুধবারও অবরোধ চলাকালে মেহের স্টেশনের এক কিলোমিটার পশ্চিমে উপলতা নামক এলাকায় ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। সেদিন ওই এলাকার কৃষক তাজুল ইসলামের বুদ্ধিমত্তায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি রক্ষা পায়।