কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বাড়ানোর সুযোগ নেই

দুই বছর আগে সিনেট সভার মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করা হয়। কিন্তু এভাবে চাকরির বয়স বাড়ানোকে বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে তা বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সম্প্রতি কমিশনের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত ১৮ মে স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সংশোধিত ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেট পরীক্ষার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাজেট পরীক্ষাকালীন জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ বাস্তবায়ন বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংগতি লক্ষ করা গেছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নয়টি নির্দেশনা দিয়েছে মঞ্জুরি কমিশন।
এর একটিতে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও সংবিধি অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৬০ বছর। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির বয়স বৃদ্ধি করা বিধিবহির্ভূত। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়স কোনো অবস্থাতেই ৬২ বছর করার সুযোগ নেই। চাকরির বয়স শুধু সরকারই বাড়াতে পারে। তাই বিধিবহির্ভূতভাবে যাঁদের চাকরির বয়স ৬২ বছর করা হয়েছে, নিয়মানুযায়ী তাঁদের ৬০ বছর বয়সেই অবসরে যেতে হবে। এ ছাড়া বিধিবহির্ভূতভাবে চাকরিরত অবস্থায় গৃহীত বেতন ও ভাতা পেনশনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
এ নির্দেশনার পর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ৬০ বছর অতিক্রম করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন, তাঁদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ৬০ বছর চাকরিকাল শেষ করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চাকরির বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করায় তাঁরা এখনো কর্মরত। তাঁরা নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন। এই অতিরিক্ত সময়ে তাঁদের অনেকের পদোন্নতিও হয়েছে। কিন্তু চাকরির বয়স শেষ পর্যন্ত বাড়ানো না গেলে তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মো. শরীফ বলেন, ‘ইউজিসি থেকে এমন নির্দেশনা এসেছে জানতে পেরে আমরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমরা তাঁকে অনুরোধ করেছি।’
উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ইউজিসি সরকারের নির্দেশনা জানিয়েছে। এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অন্য স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
২০১৪ সালের ৪ মে অনুষ্ঠিত বিশেষ সিনেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর এবং শিক্ষকদের বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছর করা হয়। কিন্তু সরকারের আপত্তির মুখে গত বছর একটি জরুরি সিনেটের মাধ্যমে শিক্ষকদের চাকরির বর্ধিত বয়সসীমা বাতিল করে প্রশাসন।

রাজধানীর চারপাশ 

বিশ্ববিদ্যালয়মঞ্জুরিকমিশনেরনির্দেশনা

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বাড়ানোর সুযোগ নেই 

দুই বছর আগে সিনেট সভার মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করা হয়কিন্তু এভাবে চাকরির বয়স বাড়ানোকে বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে তা বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)সম্প্রতি কমিশনের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে

গত ১৮ মে স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সংশোধিত ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেট পরীক্ষার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছেবাজেট পরীক্ষাকালীন জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ বাস্তবায়ন বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংগতি লক্ষ করা গেছেএ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নয়টি নির্দেশনা দিয়েছে মঞ্জুরি কমিশন

এর একটিতে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও সংবিধি অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৬০ বছরসিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির বয়স বৃদ্ধি করা বিধিবহির্ভূতকর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়স কোনো অবস্থাতেই ৬২ বছর করার সুযোগ নেইচাকরির বয়স শুধু সরকারই বাড়াতে পারেতাই বিধিবহির্ভূতভাবে যাঁদের চাকরির বয়স ৬২ বছর করা হয়েছে, নিয়মানুযায়ী তাঁদের ৬০ বছর বয়সেই অবসরে যেতে হবেএ ছাড়া বিধিবহির্ভূতভাবে চাকরিরত অবস্থায় গৃহীত বেতন ও ভাতা পেনশনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে

এ নির্দেশনার পর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ৬০ বছর অতিক্রম করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন, তাঁদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছেনাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ৬০ বছর চাকরিকাল শেষ করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসরে যাওয়ার কথা ছিলকিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চাকরির বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করায় তাঁরা এখনো কর্মরততাঁরা নতুন বেতনকাঠামো অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেনএই অতিরিক্ত সময়ে তাঁদের অনেকের পদোন্নতিও হয়েছেকিন্তু চাকরির বয়স শেষ পর্যন্ত বাড়ানো না গেলে তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হবে

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মো. শরীফ বলেন, ‘ইউজিসি থেকে এমন নির্দেশনা এসেছে জানতে পেরে আমরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমরা তাঁকে অনুরোধ করেছি

উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ইউজিসি সরকারের নির্দেশনা জানিয়েছেএ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অন্য স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে

২০১৪ সালের ৪ মে অনুষ্ঠিত বিশেষ সিনেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর এবং শিক্ষকদের বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছর করা হয়কিন্তু সরকারের আপত্তির মুখে গত বছর একটি জরুরি সিনেটের মাধ্যমে শিক্ষকদের চাকরির বর্ধিত বয়সসীমা বাতিল করে প্রশাসন