নড়াইলে আ.লীগ-বিদ্রোহী প্রার্থীর সংঘর্ষ, নিহত ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নিশান মুন্সী (৩২) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হয়েছেন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী খান জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্তত ১১ জন।

নিহত নিশান দিঘলিয়া পূর্বপাড় গ্রামের সিদ্দিক মুন্সীর ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বি এম হিমায়েত হোসেনের সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, বিদ্রোহী প্রার্থী খান জাহাঙ্গীর আলম তেলকাড়া গ্রামে গণসংযোগ করতে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিমায়েত হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম মাথায় আঘাত পান। এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকেরা গুলি চালান। গুলিবিদ্ধ নিশান মুন্সীকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে বেলা দুইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে হিমায়েত হোসেনের ১০ জন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সাতজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তিনজনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে হিমায়েত হোসেনের দাবি, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শুনেছি জাহাঙ্গীর আলম অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিলে আমার সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়। তখন তিনি ও তাঁর লোকজন গুলি চালান।’
এমন দাবির বিষয়ে খান জাহাঙ্গীর আলমের ভাষ্য, ‘তেলকাড়াতে আমার নির্বাচনী অফিসে বসা ছিলাম। হঠাৎ করেই হিমায়েত হোসেনের সমর্থকেরা আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি আর কিছু জানি না। আমার মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে।’
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বিকেলে বলেন, ঘটনার পর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এ নিয়ে সারা​ দেশে নির্বাচনী সহিংসতায় ১০১ জনের মৃত্যু হলো।