এক ঘরে বন্দী ছিল তিন হাজার পাখি

মশারি দিয়ে তৈরি বিশেষ খাঁচায় আটকে রাখা এক ঝাঁক পাখি। ছবি: আহাদ হায়দার
মশারি দিয়ে তৈরি বিশেষ খাঁচায় আটকে রাখা এক ঝাঁক পাখি। ছবি: আহাদ হায়দার

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজার এলাকায় আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিন হাজারের বেশি বন্য পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। সুন্দরবন থেকে চোরা শিকারিরা এসব পাখি বিক্রির জন্য ধরে এনে ওই বাড়িতে মজুত করেছিল। 

বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মীরা এসব পাখি উদ্ধার করেন। পরে এসব পাখি সুন্দরবনের করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক অসীম মল্লিক এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আবদুল জলিলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তাঁর বাড়ির একটি ঘরে মশারি ও খাঁচার ভেতরে আটকে রাখা অবস্থায় পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। চোরা শিকারিরা পালিয়ে গেছেন।’ তিনি আরও বলেন, রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি প্রায় এক বছর আগে আবদুল জলিলের ওই ঘর ভাড়া নেন। তিনি সুন্দরবন থেকে এসব পাখি ধরে আনা একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন থেকে পাখি শিকার করে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে আসছে। চক্রটিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

খাঁচা বানিয়েও আটকে রাখা হয় বেশ কিছু পাখি। ছবি: আহাদ হায়দার
খাঁচা বানিয়েও আটকে রাখা হয় বেশ কিছু পাখি। ছবি: আহাদ হায়দার

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সুন্দরবনের গহিনে মুনিয়া, টিয়া ও ঘুঘু পাখির বিচরণক্ষেত্র রয়েছে। চোরা শিকারিরা এসব পাখি শিকার করায় দিন দিন তা কমে যাচ্ছে। আমরা এ ধরনের চক্র শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা করছি।’