ব্যালট নিয়ে ভোট দিচ্ছেন নৌকার সমর্থকেরা

ভোটাররা ঢোকার পর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা চেয়ারম্যান পদের ব্যালটটি নিয়ে নিজেরাই নৌকায় ভোট দিচ্ছেন। অথবা তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য হচ্ছেন। শুধু সদস্য পদের জন্য ভোটাররা গোপন বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারছেন।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নের অন্তত ছয়টি কেন্দ্র ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চরআলগি ইউনিয়নের চরআলগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এখানে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা চেয়ারম্যান পদের ব্যালট পেপার ভোটারদের কাছ থেকে নিয়ে নিচ্ছেন। পরে তাঁরাই সেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ফেলছেন। এই কেন্দ্রে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কোনো এজেন্টকে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মীর আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা সব প্রার্থীকেই এজেন্ট দিতে বলেছি। না এলে কী করব?’ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

বারবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাইজহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এখানে নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরা একজন যুবক ভোটকক্ষের ভেতরে থেকেই নারী ভোটারদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান পদের ব্যালট নিয়ে নিচ্ছেন। ভোটারদের হাতে শুধু সদস্য পদের ব্যালট পেপার দিয়ে গোপন বুথে পাঠানো হচ্ছে। এখানেও বিএনপির কোনো এজেন্টকে দেখা যায়নি।

রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বাইরে অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি। সকাল সালটিয়া ইউনিয়নের রোহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়েও আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি।

ভোট বর্জন

ভোট কারচুপির অভিযোগে যশোরা ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী ইমাম খসরু ও পাইতল ইউনিয়নে মো. নুরুজ্জামান এবং বারবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদ হোসেন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ছাড়া নিগুয়ারি ইউনিয়নের পাতলাশি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনায় পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এ কারণে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত আছে।