স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে বাবুগঞ্জ থানার কনস্টেবল ফয়সাল শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে ঝালকাঠির থানার পুলিশ। যৌতুক চাওয়া ও আরেক নারীর সঙ্গে প্রেমে বাধা দেওয়ায় ওই পুলিশ সদস্য তাঁর স্ত্রী নূপুর আক্তারকে (২০) নির্মম নির্যাতন করেছেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার নূপুর আক্তার বাদী হয়ে গত রোববার রাতে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে ঝালকাঠি থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। রাতেই স্ত্রী নির্যাতনকারী স্বামী পুলিশ কনস্টেবল ফয়সাল শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মামলায় আরও দুজন আসামি রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
নূপুর আক্তার বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের চৌয়ারীপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল লতিফ খানের মেয়ে।
মো. শাহীন বলেন, ‘আমার বোন নূপুর আক্তারের সঙ্গে দেড় বছর আগে ঝালকাঠির নবগ্রাম ইউনিয়নের মুরাসাতা গ্রামের আবদুস সালাম শরীফের ছেলে ফয়সাল শরীফের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই যৌতুক দাবি করেন পুলিশ সদস্য ফয়সাল। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সালকে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি ফয়সাল আরও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় বোনের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান।’ তিনি জানান, এ ছাড়া ফয়সাল ঝালকাঠিতে এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওই সম্পর্কে বাধা দেন নূপুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৮ জুন ছুটিতে বাড়ি এসে ফয়সাল রড ও লাঠি দিয়ে নূপুরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন। নির্যাতনে নূপুর চার ঘণ্টা অচেতন ছিলেন। জ্ঞান ফিরে আসার পরও তাঁকে বাসায় আটকে রাখেন ফয়সাল। বিষয়টি টের পেয়ে ওই এলাকার হালিম খান নূপুরকে কৌশলে উদ্ধার করে পাশের গ্রাম উজিরপুরের গুঠিয়া বন্দরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সেখান থেকে নূপুরকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুস ছালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ কনস্টেবল ফয়সাল শরীফ বাবুগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঝালকাঠি থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা হওয়ায় ঝালকাঠি থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।’