জয়নাল হাজারী ফেনীর তিনটি আসনেই প্রার্থী!

ফেনীতে আওয়ামী লীগের বিতর্কিত ও বহিষ্কৃত নেতা জয়নাল হাজারী গতকাল মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন জেলার তিনটি আসনের প্রতিটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বিকেল পাঁচটার আগে তাঁর পক্ষে দুই ব্যক্তি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে এসব মনোনয়নপত্র জমা দেন। জয়নাল হাজারী একসময় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত ছিলেন। ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। মূলত ১৯৯৬ সালের পর তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সে সময় ফেনী পরিণত হয় সন্ত্রাসের জনপদে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ফেনীতে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রায় ১২০ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী মারা যান।
২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১৬ আগস্ট রাতে যৌথ বাহিনী জয়নাল হাজারীর বাড়িতে অভিযান চালায়। তিনি তখন পালিয়ে ভারতে চলে যান। ২০০৪ সালের এপ্রিলে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তিনি ভারত থেকে দেশে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জামিন পেয়ে তিনি আবারও পুরোনো কায়দায় অপতৎপরতা শুরু করেন।
এদিকে জয়নাল হাজারীর একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিজাম উদ্দিন হাজারী জয়নাল হাজারীর ক্যাডারদের সংগঠিত করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গুরুর আসনটি দখল করেন।
গতকাল সোমবার সকালে নিজাম উদ্দিন হাজারী ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ফেনী-২ আসনে বর্তমানে শুধু গুরু জয়নাল হাজারী ও শিষ্য নিজাম হাজারী ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি।