সাতক্ষীরায় সংঘর্ষে শিবিরের দুই কর্মী নিহত

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। তারা শিবিরের কর্মী বলে দাবি করেছে জামায়াত। কয়েকটি এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলার খবর পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে দেবহাটার সখিপুর মোড়ে ও সাড়ে আটটার দিকে গরানবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলো হোসেন আলী (১৭) ও আরিজুল ইসলাম (১৪)। হোসেন আলী দেবহাটা উপজেলার গাজীরহাট আতাপুর গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে। আরিজুল একই উপজেলার গরানবাড়িয়া এলাকার সয়েত আলীর ছেলে।

সংঘর্ষের সময় আরও পাঁচজন জামায়াত-শিবিরের কর্মী আহত হলেও তাদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান দাবি করেন, পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে শিবিরের দুই কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরাও সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার দাবি করেছে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরীর ভাষ্য, যৌথবাহিনীর ওপর জামায়াত-শিবির হামলা চালিয়েছে। হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকটি গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ১৮-দলীয় জোটের অবরোধের চতুর্থ দিন আজ সকালে সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গাছ, বালি ও মাটি দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। অবরোধ অপসারণে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আজ সকাল সাতটার দিকে প্রথমে সখিপুর মোড়ে পৌঁছান। এ সময় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল ছোড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এ সময় হোসেন আলী নামের একজন নিহত হয়।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এ ঘটনার পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা গরানবাড়িয়া এলাকায় যান। সেখানে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে যৌথবাহিনীর ওপর ইট ও ককটেল ছোড়েন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি ছুড়লে আরিজুল ইসলাম নামের আরেকজন নিহত হয়।

দেবহাটার সখিপুর ও গরানবাড়িয়া এবং কালীগঞ্জের শিমুলবাড়িয়া এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলার খবর পাওয়া গেছে।