সালথায় সংঘর্ষে ওসিসহ ৪৪ জন আহত, ১১টি বাড়িতেভাঙচুর

ফরিদপুরের সালথায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৪৪ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পুলিশের সাত সদস্য আছেন। গত রোববার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সালথা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১১টি বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় গ্রেপ্তার হওয়া ১৭ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সংঘর্ষের কারণে ফরিদপুর-সালথা আঞ্চলিক সড়কে চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে সালথা বাজারে সালথা গ্রামের চৌধুরী সাব্বির আলীর সমর্থক ইসারত মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের বাদল হোসেনের সমর্থক কালাম মাতব্বরের টাকা লেনদেন নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বিকেল পাঁচটা হতে দুই পক্ষ ঢাল, বল্লম, সড়কিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে দুই পক্ষের পাঁচ শতাধিক লোক অংশ নেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করে এবং শটগানের ৩৫টি গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে সালথা থানার ওসি আফসারউদ্দিন আহমেদ, উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন, মো. আলিমুজ্জামান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কবির হোসেন এবং কনস্টেবল আনিসুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন ও কামরুল হাসান আহত হন। এ ছাড়া দুই পক্ষের ৩৮ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ পান্নু মাতব্বর (২৫), ফারুক মাতব্বর (৩৫) ও মোশারফ হোসেন (৪০) সাব্বিরের সমর্থক।

সাব্বির আলী দাবি করেন, সংঘর্ষে তাঁর পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন এবং তাঁর সমর্থকদের ১০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বাদল হোসেন দাবি করেন, সংঘর্ষে তাঁর পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন এবং তাঁর সমর্থকদের একটি দোকান, একটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সালথা থানার ওসি সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের ৩৫টি গুলি ছোড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি।