ফুটপাত, রাস্তা দুই-ই ব্যবসায়ীদের দখলে

খুলনা নগরে সারা বছরই ফুটপাত দখল করে চলে হরেক রকমের ব্যবসা। কিন্তু ঈদ সামনে রেখে এই তৎপরতা বেড়েছে বহুগুণ। ব্যবসায়ীরা ফুটপাতের পাশাপাশি সড়কের একাংশও দখলে নিয়ে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন।
এতে পথচলতি মানুষের চলাফেরায় বিঘ্ন যেমন ঘটছে, তেমনি নগরজুড়ে যানজট দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়া লোকজন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। ওপর মহলের চাপে রমজানে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ আছে বলে সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে।
খুলনা নগরের আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার। পাকা সড়ক আছে ৬৪১ কিলোমিটার। সড়কে ফুটপাতের সঠিক সংখ্যা না থাকলেও প্রায় ২৫ কিলোমিটার ফুটপাত দখল হয়ে আছে বলে সিটি করপোরেশন জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিকচার প্যালেস এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, অভিযান চললে তাঁরা আশপাশের গুদামে চলে যান। তা ছাড়া বিষয়টা তাঁদের ইউনিয়ন দেখভাল করে। এই রমজানে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযান হয়নি খুলনায়।
এদিকে ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুলিশ কমপক্ষে ১০ টাকা করে আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্লে রোড এলাকার অন্তত ২০ জন ব্যবসায়ী। ওই এলাকার দায়িত্বে আছেন খুলনা সদর ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিপু সুলতান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ এ রকম করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, একদিকে ফুটপাত, অপরদিকে রাস্তার প্রায় অর্ধেক দখল—পথচারীদের চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে এসেছে। বেশির ভাগ এলাকায় ফুটপাত থেকে নামতেই রাস্তার পাশজুড়ে সারি সারি ইজিবাইক, বাইসাইকেল আর মোটরসাইকেল। কোথাও কোথাও গাড়িও পার্কিং করা।
নগরের পাওয়ার হাউস মোড় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ফুটপাতের পুরোটাই হকারদের দখলে। নগরের ডাকবাংলা মোড়, ক্লে রোড ও খুলনা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে সবচেয়ে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতেও রাস্তার অর্ধেকজুড়ে চলছে বেচাকেনা।
খুলনা সিটি করপোরেশনের সম্পত্তিবিষয়ক (এস্টেট) কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ভাসমান ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হচ্ছে। ঈদের পর উচ্ছেদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাবে কেসিসি।