২০ বছরেও সংস্কার হয়নি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বাহেরচর-গণ্ডাদুলা-নেতা-পুলঘাট সড়ক দিয়ে চলা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার তোলা ছবি l প্রথম আলো
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বাহেরচর-গণ্ডাদুলা-নেতা-পুলঘাট সড়ক দিয়ে চলা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার তোলা ছবি l প্রথম আলো

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগের প্রধান তিনটি সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এ সড়কগুলোতে যানবাহন চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ থেকে দক্ষিণে বাহেরচর-গণ্ডাদুলা-নেতা-পুলঘাট পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০০ মিটার সড়কটি ২১ বছর ধরে সংস্কার হচ্ছে না। একইভাবে উনিশ নম্বর থেকে পুলঘাট পর্যন্ত দেড় হাজার মিটার এবং গঙ্গীপাড়া থেকে সামুদাফত পর্যন্ত আড়াই হাজার মিটার কাঁচা সড়ক ২০ বছরে সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া সংলগ্ন বাহেরচর বন্দরের অভ্যন্তরের ৫০০ মিটার সড়কও ২১ বছর ধরে সংস্কারহীন রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ থেকে দক্ষিণে বাহেরচর-গণ্ডাদুলা-নেতা-পুলঘাট পর্যন্ত ইট বিছানো সড়কটির কোথাও আর ইট অবশিষ্ট নেই। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। উনিশ নম্বর থেকে পুলঘাট পর্যন্ত সড়কটিও ইট বিছানো ছিল। এটিরও একই অবস্থা হয়েছে। গঙ্গীপাড়া থেকে সামুদাফত পর্যন্ত কাঁচা সড়কটির অবস্থাও বেহাল। বাহেরচর বন্দরের সড়কটির সিমেন্টের ঢালাই উঠে গেছে। কাদা-পানিতে একাকার এসব সড়ক দিয়েই চলাচলের চেষ্টা করছেন পথচারীরা।
কাছিয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাঙ্গাবালীকে উপজেলা ঘোষণা করার পর বিভিন্ন কাজের জন্য এলাকাবাসীকে উপজেলা পরিষদে আসতে হচ্ছে। কিন্তু উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল করার মতো অবস্থা নেই। এ কারণে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’
রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান খান বলেন, ‘উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত তিনটি সড়কেরই বেহাল অবস্থা। এলাকাবাসীর স্বার্থে এ সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
উপজেলা প্রকৌশলী নূর মোহাম্মাদ মোল্লা বলেন, ‘উপজেলার প্রধান সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। বিষয়টি আমাদের জানা আছে। শুকনো মৌসুমে তরমুজবাহী ভারী গাড়ি চলাচল করার কারণে সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে এগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’