রাঙ্গাবালীতে আমন বীজের সংকট, চাষিরা উদ্বিগ্ন

অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে এলাকায় আমন বীজের সংকট দেখা দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বেশি দাম দিয়েও আমন বীজ সংগ্রহ করতে পারছেন না। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমে অনেক কৃষকের জমি অনাবাদি থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এলাকার কৃষকেরা জানান, অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের বাহেরচর, গঙ্গিপাড়া, পুলঘাট ও নেতা, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চতলাখালী, গহিনখালী, চরতোজাম্মেল ও চরইমারশন, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া, মরাজাঙ্গি, চিনাবুনিয়া, বিবিরহাওলা, গরুভাঙা ও গেলবুনিয়া এবং বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী, তক্তাবুনিয়া, ফেলাবুনিয়া, গাববুনিয়া, তুলাতলী, কাজীকান্দা, মধুখালী ও ছাতিয়ানপাড়া গ্রামের বেশির ভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।

চালিতাবুনিয়া গ্রামের চাষি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি এ বছর মৌসুমের শুরুতে তিন একর জমিতে আমন বীজতলা তৈরি করেন। অতিবৃষ্টির কারণে তাঁর আড়াই একরের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। পরে তিনি আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি করেন। জলাবদ্ধতার কারণে এবার তাও নষ্ট হয়ে গেছে।

ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চরইমারসন গ্রামের কৃষক মো. আসছা বলেন, ‘আমার দেড় একরের আমন বীজখলা (বীজতলা) জলাবদ্ধতায় শেষ হইয়া গ্যাছে। এখন বেশি দাম দিয়াও এলাকায় বীজ কিনতে পাই না। বীজ না পাইলে জমি খিল (অনাবাদি) রাহন ছাড়া উপায় নাই।’

রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এর জন্য ৫০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমির আমন বীজতলার বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে রাঙ্গাবালীতে ৯৯ হেক্টরেরও বেশি জমির আমন বীজতলায় পচে গেছে। এ অবস্থায় আমরা কৃষকদের নতুন করে বীজধান সংগ্রহ করে বীজতলা তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছি। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’