'অনুপস্থিত' ছয়জন শিক্ষার্থীর তালিকা করেছে কর্তৃপক্ষ

দীর্ঘদিন ধরে ‘অনুপস্থিত’ থাকা ছয়জন শিক্ষার্থীর একটি তালিকা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে একজন ছাত্রীও রয়েছেন। এই শিক্ষার্থীরা ২ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১০ মাস পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। তদন্তের স্বার্থে এসব শিক্ষার্থীর নাম এখনই প্রকাশ করতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ।
‘অনুপস্থিত’ থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলিত পদার্থবিদ্যা ও ফার্মেসি বিভাগের দুজন করে চারজন, প্রাণিবিদ্যা ও দর্শন বিভাগের একজন করে রয়েছেন। সবাই স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ কামরুল হুদা ও প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাজধানীর গুলশানে রেস্তোরাঁয় ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলার পর ‘অনুপস্থিত’ শিক্ষার্থীদের তালিকা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল পুলিশ। চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘অনুপস্থিত’ শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়।
গত ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের প্রধানদের নিজ নিজ বিভাগের অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীদের তালিকা জমা দিতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ‘অনুপস্থিত’ থাকা শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখায় জমা হয়। পরে ওই তালিকা ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে। এর মধ্যে ছয়জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, যোগাযোগ করতে না পারা ছয় শিক্ষার্থীর নাম, বিভাগ, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, মুঠোফোন নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানাসহ একটি তালিকা করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কামরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি এমন কয়েকজনের একটি তালিকা গত বুধবার প্রক্টরিয়াল বডির কাছে জমা দিয়েছি। তবে এঁদের নিখোঁজ বলছি না। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত বলে তাঁদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তালিকাটি রোববার (আজ) হাটহাজারী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানান প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী।